বান্দরবানের আজিজনগর ইউনিয়নের ব্রিজ ধসে পড়ার পর এবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া হয়ে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে যাওয়ার একমাত্র সড়কের ওপর স্থাপিত কালভার্টটি ধসে গেছে। এতে ইউনিয়নের জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার সড়কের নয়াপাড়া এলাকায় স্থাপিত কালভার্টটি ধসে এ ভোগান্তি দেখা দেয়।
কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালভার্টটির ওপর দিয়ে ৫ টনের অধিক ওজনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইটভাটাগুলোর ধারণ ক্ষমতার বেশি ইটবোঝাই যান চলাচলের কারণে কালভার্টটি ধসে পড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফাইতং ইউনিয়ন থেকে বানিয়ারছড়া পর্যন্ত সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর নির্মাণ করে। এ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ২৩টি ইটভাটা। এসব ইটভাটায় উৎপাদিত ইট কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় শতাধিক গাড়ি যোগে নিয়ে যাওয়া হয় এ সড়কের ওপর দিয়েই। শুধু তাই নয়, পাথর ও গাছ ভর্তি ট্রাকও চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার বিকালেও সড়কের ধারণ ক্ষমতার বেশি ইট বোঝাই ট্রাক চলাচলের এক পর্যায়ে কালভার্টটি ধসে পড়ে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ফাইতং ইউনিয়নের সাথে চট্টগ্রাম ও চকরিয়া উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। কিন্তু প্রতিদিন ধারণ ক্ষমতার বেশি ওজনের শতাধিক ট্রাক চলাচল করে এ সড়কের ওপর দিয়ে। এ কারণে কালভার্টটি ধসে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে এখন স্থানীয়রাই নিজ উদ্যোগে ইটের খোয়া ঢেলে চলাচলের উপযুক্ত করে তোলার চেষ্টা করছেন।
কালভার্ট ধসে পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বলেন, এলজিইডি দায়িত্বরতদের সাথে সমন্বয় করে কালভার্টটি নতুন করে নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের লামা উপজেলা সার্ভেয়ার মো. জাকের হোসেন মোল্লা বলেন, বরাদ্দ না থাকায় নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয়দেরকে ধসে পড়া কালভার্টের ওপর ইটের কংকর ও মাটি ভরাট করে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বিবার্তা/আরমান/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]