জয়পুরহাটে দুটি ওষুধের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করার প্রতিবাদে ১৮ ঘণ্টা ধর্মঘট করেছেন দোকানিরা।
শহরের বাটার মোড় এলাকায় সওদাগর ফার্মেসি ও সওদাগর মেডিকেল স্টোর নামে দুটি ওষুধের দোকানকে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর প্রতিবাদে জয়পুরহাট জেলার সব ওষুধের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেন দোকানিরা। ওই সময় জরুরি ওষুধ কিনতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শহরের সব ওষুধের দোকানের এ ধর্মঘট শুরু হয়। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওষুধের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে রোগী ও রোগীর স্বজনরা।
পরে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেনের নির্দেশে ১৮ ঘণ্টা পর দোকানিরা ধর্মঘট তুলে নেন।
জানা যায়, বুধবার বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামসেদ রানা জয়পুরহাট শহরের ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে সওদাগর ফার্মেসি ও নিউ সওদাগর ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ২ কার্টন ওষুধ পান। এ সময় এই দুটি দোকানকে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
এরপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবির সব ওষুধের দোকান বন্ধ করে রেখে ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন জয়পুরহাট জেলা শাখা।
কোনো রকম ঘোষণা ছাড়া ওষুধের দোকানে ওই ধর্মঘট ডেকে জয়পুরহাটসহ জেলার সব ওষুধের দোকান বন্ধ রাখায় রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এমনকি ওই রোগীদের জয়পুরহাট শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে বটতলী বাজার থেকে ওষুধ সংগ্রহ করতে হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন জানান, বুধবার দুপুর ১২টায় ওষুধ ব্যবসায়ী নেতারা তার অফিসে দেখা করতে এলে শর্ত ছাড়াই দ্রুত সব ওষুধের দোকান খোলার নির্দেশ দিলে তারা ধর্মঘট তুলে নেন।
বিবার্তা/শামীম/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]