পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের পলাশ হাওলাদারের মেয়ে ফারজানার বিয়ের সকল প্রস্তুতি চলছিল। সে ভাবেই চলছিল সব আয়োজন। বর পক্ষ ও মেয়ে পক্ষ সবাই এসেছিল কলেমায় অংশ নিতে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন। আর এ নির্দেশ পেয়ে চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের শানু মুন্সীর ছেলে এনামুলের সাথে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থী ফারজানার বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। সে ধানখালী এম.ইউ.মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
চম্পাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিন্টু তালুকদার জানান, বাল্যবিবাহ আইনত অপরাধ জেনেও কনে ও বর পক্ষ বিয়ের আয়োজন করায় নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে চম্পাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে ওই বিবাহ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
বিবার্তা/উত্তম/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]