নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধূ পারভীন (৩০) নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে গোলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার খুবজীপুর গোলপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ১২ বছর পূর্বে পৌর সদরের খলিফাপাড়া মহল্লার ভ্যান চালক খাজা বেপারীর মেয়ে পারভীনের বিয়ে হয় উপজেলার খুবজীপুর গোলপাড়া গ্রামের ছলেমান আলী প্রামানিকের ছেলে সবুজ আলীর সাথে। বিয়ের পর থেকে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে আসছে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। বিয়ের পর প্রতিবেশী এক মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায় সবুজ। সেখান থেকে ফেরাতে নিহত পারভীনের বাবা মেয়ের সুখের কথা ভেবে তার বাড়ির জায়গা থেকে এতটুকু বিক্রি করে জামাইকে ৪ লাখ টাকা দিয়ে ওমান পাঠান।
আরো জানা যায়, সবুজ প্রবাসে থাকাকালীন উপজেলার পিপলা গ্রামের আফজালের মেয়ে আশার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তিন বছর পর ৪ মাস আগে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এসেই ১৫ দিনের মাথায় প্রেমিকা আশাকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে আসে। এতে পারভীনের উপর নির্যাতনের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়।
নিহতের বাবা খাজা জানান, সবুজ ও তার পরিবার পারভীনকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। হত্যার পর তারা আমার মেয়েকে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তারেকুর রহমান সরকার জানান, একটি অপমৃত্যুর মামলা নেয়া হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোরে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিবার্তা/দিলু/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]