শিরোনাম
গুরুদাসপুরে ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা আদায়ের অভিযোগ
প্রকাশ : ২৪ মে ২০১৮, ০২:২৪
গুরুদাসপুরে ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা আদায়ের অভিযোগ
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নাটোরের গুরুদাসপুরে এক স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ২০০ টাকা করে অন্তত ৪৭৪ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার উপজেলার বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা কলেজ কেন্দ্রে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে টাকা নেয়ার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।


ভুগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের এক্সটারনালকে টাকা দিয়ে পূর্ণমার্ক পাইয়ে দেবার কথা বলে ওই টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা কলেজে চলমান এইচএসসি পরিক্ষার কেন্দ্রে মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিক্ষায় অংশ নেয়। লিখিত পরিক্ষার পর বর্তমানে চলছে প্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিষয়ে অন্তত দশটি কলেজের মোট ৪৭৪ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়।


নাজিরপুর, বেগম রোকেয়া, মোজাম্মেল হক কলেজ, রোজী মোজাম্মেল কলেজসহ অন্যান্য কলেজের ৪৫৯ জন শিক্ষার্থী বুধবার ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ে বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া টাকা বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা কলেজ কেন্দ্রের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রধান প্রভাষক নাজলী পারভীনের কাছে জমা দেয় ওই কলেজগুলোর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা।


বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা কলেজের ভূগল বিষয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন শিক্ষক জানান, কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান প্রভাষক নাজলী পারভীন এই কলেজের ভূগোল বিষয়ের শিক্ষকদের বাদ রেখে বিধি বর্হিভূতভাবে আশপাশের কয়েকটি কলেজের শিক্ষক এনে এই পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করাচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা প্রায় লক্ষাধীকার মধ্যে প্যাকটিক্যাল পরিক্ষার দায়িত্ব পালন করা ওই শিক্ষকদের নাম মাত্র প্রদান করে সম্পূর্ণ টাকাই তিনি নিজেই আত্মসাৎ করছেন। এই অভিযোগ শুধু চলমান পরিক্ষার নয়। এর আগেও একাধিক পরীক্ষায় এধরনের দুর্নীতি করার অভিযোগ আছে প্রভাষক নাজলী পারভীনের বিরুদ্ধে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কলেজে ভূগোল বিষয়ের প্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে আসা বিভিন্ন কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা বাবদ তাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা বাধ্য করে নেয়া হয়েছে। টাকা না দিতে চাইলে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষকরা। তাই বাধ্য হয়ে ২০০ টাকা করে দিয়েছে তারা।


এ বিষয়ে ওই কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রধান প্রভাষক নাজলী পারভীন বলেন, দুইজন ইন্টারনাল ও দুইজন এক্সটারনাল তাদের কিছু বিষয় থাকে। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন।


বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম জানান, টাকার ব্যাপারটা পুরোপুরি সত্য নয়। তবে আগে থেকেই এ রেওয়াজ চলে আসছে। পরীক্ষা দেয়ার সময় শিক্ষকদের তারাও কিছু টাকা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা নেয়ার বিষয়ে অবগত নই। তবে নিলেও সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষকরা নিয়েছে।


বিবার্তা/দিলু/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com