বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেওহাটা এ. জে উচ্চ বিদ্যালয় ও দেওহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। এতে চরম ভোগান্তি পড়তে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন বিদ্যালয়ের মাঠটি এখন জলাবদ্ধতার কারণে পুকুরে পরিণত হয়েছে। বছরের অধিকাংশ সময়ই এ মাঠে পানি থাকে। এতে করে বিভিন্ন খেলাধুলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দিবস উদযাপন করতেও সমস্যা হয়। বিদ্যালয়ের মাঠটি মহাসড়কের থেকে প্রায় ৬ ফুটেরও বেশি নিচু। মাঠটি মাটি দিয়ে ভরাট করাই এখন প্রধান কাজ বলে মনে করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মাঠে পানি জমাট হয়ে থাকার ফলে আমরা খেলাধুলা করতে পারি না। প্রতিদিন শরীর চর্চা ও মার্চ পাস্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি না। অতি দ্রুত যেনো মাঠটি ভরাট করার আবেদন জানান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
অন্যদিকে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তা পারাপার। রাস্তা পারাপারের তেমন সু-ব্যবস্থা না থাকার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মহাসড়কে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে। এরই মধ্য দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরাও।
মাঠে জলাবদ্ধতার বিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লতিকা রাণী পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাঠে জলাবদ্ধতার ফলে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে আছি। তবে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা খুবই সক্রিয়। তারা বিষয়টিকে মাথায় নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার জন্য বিকল্প একটি রাস্তা করে দিয়েছেন।
দেওহাটা এ.জে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মহাসড়কের চাইতে মাঠটি নিচু হয়ে গিয়েছে। একটু বৃষ্টির পানিতেই ভরে যায়, শিক্ষার্থীরা মাঠটি ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়িতই।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অতি দ্রুত যেনো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মহাসড়কের ওই স্থানে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং একটি ওভার ব্রিজেরও খুবই প্রয়োজন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাকির হোসেন মোল্লার কাছে গত ১ বছরে কতো শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন এ তথ্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার সঠিক জানা নেই। এটি দেওহাটা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন।
উপজেলার ওই স্থানে রাস্তা পারাপারের জন্য ওভার ব্রিজ করা হবে কি না এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, সকলের সুবিধার্থে ৩ মিটারের আন্ডার পাস (পাতাল সড়ক) হবে। এজন্য ওইখানে চার লেনের কাজ বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত এ কাজের অনুমোদন পাইনি। অনুমোদনের জন্য প্রস্থাব করা হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। অনুমোদন পেলেই জুন-জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতার বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/তোফাজ্জল/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]