শিরোনাম
সাদুল্যাপুরে বাঁধ বিলীন হওয়ায় হুমকিতে জনপদ
প্রকাশ : ২১ মে ২০১৮, ১৯:৫৩
সাদুল্যাপুরে বাঁধ বিলীন হওয়ায় হুমকিতে জনপদ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে ঘাঘট নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় হুমকির মুখ রয়েছে স্থানীয় বসত-ভিটা। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ওই গ্রামের আরো বাঁধ ও লোকালয় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরান লক্ষ্মীপুর গ্রামের ওই বাঁধটি গত বছর বিলীন হলেও আজো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।


বাঁধটি বিলীন হওয়ায় মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই গ্রামবাসী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষা, বসতভিটা ও ফসলি জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা রক্ষার জন্য অতিদ্রুত স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন।


সরেজমিনে দেখা গেছে, বছরের পর বছরের অব্যাহত ভাঙনের ফলে পুরান লক্ষ্মীপুর গ্রামে বাঁধ গত বছর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে তৈরি করা কিছু অংশে কাঠের সাঁকো দিয়ে মানুষ কষ্ট করে চলাচল করছে। কিন্তু মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান ও ট্রলিসহ অন্যান্য বড় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে মানুষকে বেশি এলাকা ঘুরে চলাচল করতে হয়। কুপতলা ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নসহ আশেপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরে চলাচলের এটিই প্রধান সড়ক। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে এসব মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হবে।


স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ঘাঘট নদীর তীর ভাঙ্গনের ফলে ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গন মোকাবেলায় তাতেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু গতবছর বর্ষা মৌসুমে এই নদীর বাঁধ ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলে মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমেও এই এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। আর সেটি হলে নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বসতবাড়ী ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হবে।


কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, ইতোমধ্যে পুরান লক্ষ্মীপুর গ্রামে ফসলি জমি, বাঁধ ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার তাগাদা দিলেও তারা স্থায়ী কোন উদ্যোগই নিচ্ছে না।


গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আপাতত সাদুল্যাপুরে বাঁধ মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেই। তবে আগামী বছরে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে টাকা পাওয়ার কথা রয়েছে, সেটা প্রক্রিয়াধীন। সে টাকা পাওয়া গেলে সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাঁধগুলো মেরামত করা হবে।


বিবার্তা/তোফায়েল/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com