চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার খিলাবাজার এলাকার শ্রী বাবুল চন্দ্র দাস ভুয়া ডিগ্রি ধারণ করে চিকিৎসার নামে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে আসছে বলে জানা গেছে। মাধ্যমিকের গণ্ডি না পার হওয়া ওই ব্যক্তি তার নামের পাশে ডিগ্রি হিসেবে ভি.ডি.আর.এম.পি-এল.এম.এফ লিখেছে, যার অর্থ সে নিজেও দিতে পারেনি।
জানা যায়, পাথৈর গ্রামের মৃত কানু লাল দাসের ছেলে বাবুল খিলা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে খিলা বাজারে একটি ঔষধের দোকান দেয়। সেখান থেকেই সে আস্তে আস্তে হয়ে ওঠে ''ডাক্তার বাবুল''। বর্তমানে তার দোকানের নাম শুভ ফার্মেসী।
এ নিয়ে কথা হয় তার সাথে। বাবুল জানায়, সে মিরেরসরাই বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে। কিছুটা কৌতূহলের সাথে তার কাছে বালিকা বিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বার বারই বালিকা শব্দটি উচ্চরণ করে। কথোপকথনের একপর্যায়ে বাবুল লজ্জামাখা মুখে বলে, মেট্রিকে পড়েছি কিন্তু পরীক্ষা দেই নাই। এ সময় আবারো সে বালিকা বিদ্যালয়ের নাম বলে। সাইনবোর্ডে ব্যবহৃত ভি.ডি.আর.এম.পি-এল.এম.এফ ডিগ্রি সম্পর্কেও সদুত্তর দিতে পারেনি সে।
শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্ট ডা. আহসানুল কবির জানান, চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রি না থাকলে কেউ ব্যবস্থাপত্র দিতে পারেন না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া এন্টিবায়োটিক দেয়ার নিয়ম নাই। এ ক্ষেত্রে রোগ নিরাময়ের চেয়ে জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাবুলের ''ডিগ্রি'' দেখে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মানিক লাল মজুমদার জানান, এ সকল ভুয়া। তবে তিনি বলেন, কেউ যদি আমাকে লিখিতভাবে জানায় তা হলে আমি বিষয়টি দেখবো। তিনি আরো বলেন, এসব বিষয় সিভিল সার্জন দেখেন। আপনারা তুলে ধরলে ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহজ হবে।
বিবার্তা/ফয়েজ/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]