আত্মহত্যা মহাপাপ জানার পরও কতটা অসহায় হলে মানুষ আত্মহননের বেছে নেয় তা যুক্তি-তর্কের উর্ধ্বে। যদিও আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয় এবং আবেগতাড়িত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়াও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কায়েস আকন্দের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী মুরসালিনা দীপ্তির। ভালোবাসার সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে বিয়ের উদ্দেশে ৩ এপ্রিল দিনগত রাতে বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায় দীপ্তি। সেদিন কায়েস ও তার পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার কথা ছিলো। রাত বাড়তে থাকলে কায়েসের আসতে দেরি হওয়ায় দীপ্তি ভাবে সে প্রতারিত হয়েছে।
পরে একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করে দীপ্তি। ওই চিরকুটে তার মৃত্যুর জন্য সে তার প্রেমিক কায়েসকে দায়ী করে। পাশাপাশি তাদের প্রেমসহ সব সম্পর্কের কথা কায়েসের ভাবী মুন্নী জানেন বলে চিরকুটে উল্লেখ করে যায় দীপ্তি। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পরদিন দীপ্তির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি নিয়মিত মামলাও হয়।
নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ৪ এপ্রিল ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর বুধবার রাত ১টার দিকে রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে প্রেমিক কায়েসকে আটক করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।
কায়েস নেত্রকোনা জেলা সদরের লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়নের ষাটকাহনিয়া গ্রামের মানিক আকন্দের ছেলে। সে শহরের আবু আব্বাস ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রীর লেখা সুইসাইড নোট (চিরকুট) অনুযায়ী প্রেমিক কায়েসকে খুঁজছিল পুলিশ। পরে বুধবার গভীর রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিবার্তা/তৌহিদ/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]