শিরোনাম
সূর্যমুখী ফুল হাসি এনেছে কৃষকের
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:৫৩
সূর্যমুখী ফুল হাসি এনেছে কৃষকের
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে হাসছে উপকূলের কৃষকরা। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দিনে দিনে বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। স্বল্প জমিতে কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকে পরেছেন এ চাষে। অনেক আবাদি জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে নয়নাভিরাম হলুদ বর্ণের সূর্যমুখী ফুল। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখির আবাদ হয়েছে। কোন ধরনের কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে এবার সূর্যমূখির বাম্পার ফলন হবে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।


উইকিপিয়ার তথ্য থেকে জানা জানা যায়, সূর্যমুখী একধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। এ ফুল সাধারণত লম্বায় ৩মিটার হয়। এ ফুল দেখতে কিছুটা সূর্যের মত এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নে কৃষকরা কম বেশি সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। সবুজ গাছের মাথায় থোকায় থোকায় ফুটেছে ফুল। বাতাসে বাতাসে দুলছে ফুলগাছ। সূর্যের দিকে মুখ করে হাসছে ফুলগুলো। ফুলের মাঠে মৌমাছি, পাখির আনাগোনাও চোখে পড়ার মত। দেখলে মনে হয় এ যেন চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর এক অপরূপ সৌন্দর্য।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার টিয়াখালী, ধানখালী, চম্পাপুর, নীলগঞ্জ, চাকামাইয়া, মহিপুর ও ধুলাশর ইউনিয়নের সূর্যমুখী ফুলের বেশি চাষ হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সূর্যমূখির বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এ সূর্যমূখির বাম্পার ফলন দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। তবে বাজারজাত করন, সেচ ব্যবস্থা আর ঋণ সুবিধা পেলে সূর্যমুখী ফুল চাষের মাধ্যমে এ উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে ধারনা কৃষক ও সংশ্লিষ্ট জনদের।



কৃষক মো.কবির মুসুল্লি বলেন, গত বছর সূর্যমুখী ফুল চাষ করে ভাল লাভবান হয়েছি। তাই এ বছরও ০.৭২ একর জমির উপরে ১৩০০ টাকার আটি কিনে রোপণ করেছি। আশা করছি পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব। অপর কৃষক ছাবের মুন্সী জানান, সরকারি ভাবে যদি কোন সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যেত তাহলে কৃষদের সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ আরও বাড়ত।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.মশিউর রহমান জানান, যারা সূর্যমুখী চাষ করেছেন তাদের ফলন ভাল হয়েছে। তাছাড়া সূর্যমূখির বীজ ভাঙানোর কোন মেশিন নেই। তবে এখানে যদি বীজ ভাঙিয়ে তেল তৈরির মেশিন থাকত তাহলে সূর্যমূখির চাষ অনেকটা বাড়ত বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।


বিবার্তা/উত্তম/সুমন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com