লক্ষ্মীপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েক বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে জেলার কৃষকরা এবার বেশি করে বোরোর আবাদ করেছে। ইতোমধ্যে পাকা ধান কাটা ও সোনার ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
তবে এরই মাঝে হঠাৎ কয়েক দফা কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়াতে কৃষকরা আতঙ্কে রয়েছেন। বাম্পার ফলনে খুশি হলেও ন্যায্য মূল্যে নিয়েও চিন্তিত জেলার চাষীরা। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, উৎপাদন খরচের চিন্তা করেই ন্যায্য মূল্য দেয়া হবে।
জেলা কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৪ হাজার ৬২৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে জেলার পাঁচটি উপজেলায় ২৮ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান লাগানো হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৩ হাজার ৪৭৬ হেক্টর জমিতে উৎপাদন বেশি হয়েছে। নিবিড় পরিচর্যা, সময় মতো সেচ, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষক সোহেল হোসেন বলেন, ধানে পোকামাকড় তেমন আক্রমণ না করায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েক দফা কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হলেও আধা কাঁচা-পাকা ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি।
জেলার অন্য এক কৃষক সোহাগ বলেন, এবার আগাম জাতের ধান আবাদ করায় মৌসুমের শুরুতেই ধান কাটতে পারায় অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছি। শ্রমিকের মুজুরি একটু বেশি হলেও নিশ্চিন্তে ধান ঘরে তুলছেন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনে খুশি হলেও ন্যায্য মূল্যে নিয়ে চিন্তিত তিনি।
জেলা কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ বেলাল খান বলেন, জেলার প্রত্যেক উপজেলায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। আশা করি ১৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা তাদের পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, ধানের ন্যায্য মূল্যে নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। উৎপাদন খরচের কথা চিন্তা করেই ধানের ন্যায্য মূল্য দেয়া হবে।
বিবার্তা/ফরহাদ/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]