শিরোনাম
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৪
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ২১:৩৮
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৪
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সাতক্ষীরায় দিনদুপুরে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা এসময় আড়াই ভরি ওজনের সোনার গহনা, নগদ দেড় লাখ টাকা ও জরুরী কাগজপত্র লুট করেছে। ভাঙচুর করেছে দুটি মোটরসাইকেল, একটি কম্পিউটার, একটি টেলিভিশনসহ আসবাবপত্র। বাড়ির উঠানে ছুড়ে ফেলা হয়েছে কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র। সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছে শিশুসহ চারজন। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা শহরের মেহেদিবাগে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মোল্লার বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে এ তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই মনিরের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সন্ত্রাসীরা স্থান ত্যাগ করে। তবে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।


মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মোল্লার পুত্রবধূ আহত আসমা খাতুন (৩০) জানান, বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার কুশখালি গ্রামের আহমদ আলি গাজির ছেলে গোলাম মোস্তফা বাবু, একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রাজুবাবু মুন্না, মেহেদিবাগের মৃত নজির আহমেদের ছেলে শাহজালাল সবুজ, হাওয়ালখালি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম, মেহেদিবাগের নূর ইসলামের ছেলে মিলন গাজি, কামারবায়সা গ্রামের মোবারক আলির ছেলে রবিউল ইসলাম সহ ২০/২৫ জন মোটরসাইকেলে হুইসেল বাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়।


এ সময় বাড়ির গেট বন্ধ থাকায় শাহজালাল সবুজ প্রাচীর টপকে গেট খুলে দেয়। এরপর সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে নারী ও শিশুদের জিম্মি করে ফেলে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায়। এ সময় সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয় শফিকুল ইসলামের মেয়ে সাবরিনা আফরিন (২২), তরিকুল ইসলামের স্ত্রী আসমা খাতুন (৩০) ও ছেলে আরাফাত (৭) । এছাড়া আনোয়ারা বেগম ও জাহানারা খাতুন নামে আরো দুজন আহত হয়। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


ঘটনাস্থল থেকে ফিরে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই মনির জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটির কোনো পুরুষ সদস্য বাড়িতে ছিলেন না। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি তিনি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মেদকে জানিয়েছেন।



সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মেদ জানান, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু তার আগে সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর লুটপাট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।


বিবার্তা/শহীদুল/সুমন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com