শিরোনাম
গাইবান্ধায় হাসি নেই কৃষকের মুখে
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ২০:৫৭
গাইবান্ধায় হাসি নেই কৃষকের মুখে
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ে আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছে কৃষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে ক্ষেতের পাকা ধান রক্ষার জন্য কৃষকেরা এখন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে নানা রোগ-বালাইয়ের কারণে ফলন কম হওয়ায় অনেকটা চিন্তিত কৃষকরা। ফলে হাসি নেই কৃষকের মুখে।


সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন উপজেলার সর্বত্রই ইরি আগাম জাতের বি.আর-২৮ জাতের ধান মাঠে কাটা শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আতঙ্কে কৃষকরা কিছুটা আগে ভাগেই ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছে। জামালপুর ইউনিয়নের কৃষক রাজা মিয়া ও খয়বর আলীসহ আরও একাধিক কৃষকরা জানায়, ইতিমধ্যেই তারা আগাম জাতের ব্রি-২৮ ধান কাটা শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে ধান ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণ হওয়া ফলন উৎপাদন অনেকটাই কম হবে।


ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে গোখাদ্যের সঙ্কটের কারণে ধান গাছের প্রতি আটি বিক্রি করা হচ্ছে ৩ টাকা করে। এতে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত আয় হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার টাকা। এতে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।


উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, এবার কৃষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। কোন সেচ সংকট ছিলনা। সময়মত সার ও বালাইনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) জোবায়দুর রহমান জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষি বিভাগের তদারকি প্রশিক্ষণ ও কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক শিলা বৃষ্টিতে কিছুটা ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।


বিবার্তা/তোফায়েল/সুমন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com