শিরোনাম
নাটোরে একই দিনে ৫ মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:১৪
নাটোরে একই দিনে ৫ মরদেহ উদ্ধার
নাটোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নাটোরের লালপুর, বড়াইগ্রাম ও নলডাঙ্গা উপজেলায় রবিবার একই দিনে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা রয়েছে। নিহতদের মধ্যে


এদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বাকিরা হলেন লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের নাওদারা গ্রামের মাহাবুল (৩০), ঈশ্বরদী ইউনিয়নের নবিনগর গ্রামের এজাজুল করিম (২২), অর্জুনপুর-বরমহাটী ইউনিয়নের শ্রীরামগাড়ি গ্রামের পপি খাতুন (১৬) এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাঝগাঁও গ্রামের স্ত্রী নার্গিস বেগম (৪৫)।


সান্তাহার রেলওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার ইমায়দুল ইসলাম জানান, রবিবার সকালে নলডাঙ্গা উপজেলার সূর্যবাড়ি রেলওয়ে ২৩৯ নং ব্রিজের দক্ষিণে অজ্ঞাত এক নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সঙ্গে ছোট একটি ব্যাগে কিছু চাল ও কাপড় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে শনিবার রাতে ওই অজ্ঞাত নারী সূর্যবাড়ি এলাকার ব্রিজ পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান তিনি। তবে মেয়েটির কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি।


বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার খাঁন জানান, নতুন বাড়ি নির্মাণ করার জন্য নার্গিসের স্বামী রেজাউল করিম বাগানের গাছ বিক্রি করে এক লাখ দশ হাজার টাকা ঘরে রেখেছিলেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বালি কিনতে রেজাউল স্থানীয় বনপাড়া বাজারে যায়। এ সময় বাড়িতে অন্য কোনও সদস্য ছিল না। হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। এসময় ওই গৃহবধূর তলপেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।


মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।


অপরদিকে লালপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, প্রায় ১০ বছর আগে নিখোঁজ হন নাওদারা গ্রামের মাহাবুল। দুই মাস আগে সে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন। রবিবার সকাল ১১টার দিকে সে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।


অপরদিকে অর্জুনপুর-বরমহাটী ইউনিয়নের শ্রীরামগাড়ি গ্রামের মেয়ে স্থানীয় পাটিকাবাড়ী বিলায়েত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। তার ফলাফল ভালো হবে না বলে রবিবার সকালে নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।


অর্জুনপুর-বরমহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার জানান, পপি খাতুন আত্মহত্যার আগে তার মাকে একটি চিঠি লিখেছিল। চিঠিতে সে উল্লেখ করে যে, ‘আমার ফলাফল ভালো হবে না। আমি পাশ করতে পারবো না। তাই আত্মহত্যা করলাম। তুমি কোনও দুঃখ করো না।’


এদিকে ঈশ্বরদী ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে, পাবনা পলিটেকনিক্যাল কলেজের সিভিল শাখার ৩য় বর্ষের ছাত্র এজাজুল করিম শনিবার রাত ১১টার দিকে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে দাবি করেন ওসি আবু ওবায়েদ।


এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জয় জানান, পরিবারের সদস্যরা তাকে জানিয়েছেন, এটা নিছক আত্মহত্যা। তবে আত্মহত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।


একই দিনে একই উপজেলা এলাকায় তিনটি আত্মহত্যা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে ওসি আবু ওবায়েদ রবিবার রাত সাড়ে ৭টায় জানান, তিনটি আত্মহত্যার ঘটনায় পৃথক তিনটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।


বিবার্তা/সাকলাইন/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com