শিরোনাম
কর্ণফুলীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০১৮, ২০:০৫
কর্ণফুলীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নতুন করে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় কর্ণফুলীতে বাড়ছে এলপি গ্যাসের চাহিদা। তবে সে অনুপাতে বাড়ছে না সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারের নিরাপত্তা,অগ্নিনির্বাপক কোন যন্ত্রের দোকান। চট্টগ্রামের ঘরে ঘরে এখন এলপি গ্যাস ব্যবহার।


অনেকে এসবের নাম দিয়েছেন বোতল বোমা। নিম্নমানের সিলিন্ডার ও কিটস ব্যবহার, ৫ বছর পরপর রিটেস্ট না করায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এবং আগুন লাগার খবর কর্ণফুলীতে বাড়ছে।


জানা গেছে, উপজেলার কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটছেই। মৃত্যুসঙ্গী বোমা ঘরে নিয়েই বসবাস করছে উপজেলার প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।


তথ্যমতে, কিছুদিন পূর্বে পুরাতন ব্রিজঘাট চত্বরে ১৬টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মূলত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ আগুনের সূত্রপাত বলে খবর পাওয়া যায় ।


ভুক্তভোগীরা বলছেন, বাংলাদেশে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যারা ব্যবসা করছেন তারাই আবার এই সিলিন্ডার পরীক্ষার সনদ দিয়ে থাকেন। সিলিন্ডারের সমস্যার কারণ থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।


কর্ণফুলীতে ছোটবড় দুই শতাধিক মিল ফ্যাক্টরিতে ব্যবহার হচ্ছে প্রচুর গ্যাস সিলিন্ডার। এদিকে উপজেলায় নেই ফায়ার সার্ভিস। শহর হতে দমকল বাহিনী আসতে আসতে ৫০% পুড়ে ছাই। এমনকি মহাসড়কে ও উপজেলায় চলাচল করা যানবাহনের একেকটিতে ২ থেকে ৬টি সিলিন্ডার পর্যন্ত সংযোজন করা হয়। যেন বোমা বহনকারী গাড়িতে আমরা চলছি।


দেখা যায়, কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহার ক্রসিং,কলেজ বাজার,মইজ্জারটেক বাজার, সৈন্যেরটেক বাজার,ফকিরন্নির বাজার বোর্ড বাজার,ইছানগর বাজার,চরপাথরঘাটা বাজারের অর্ধশত দোকানে গ্যাসের বোতল বিক্রি করছে অবাধে। নেই কোন সরকারি নজরধারী। খুচরা দোকানে ১০টার অধিক বোতল না রাখার আইন থাকলেও দোকানদাররা সেই নিয়ম মানছেন না। তারা দোকানে বহু বোতল মজুত করছেন। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে লোকজন।


বিবার্তা/জাহেদ/সুমন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com