শিরোনাম
‘জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাল্টাতে চেয়েছিল’
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:৩২
‘জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাল্টাতে চেয়েছিল’
কলাপাড়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নৌপরিহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাল্টে ফেলার চেষ্টা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনেক খেলা খেলেছে। যারা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। সকলের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

শনিবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ড আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কলাপাড়া উপজেলা কমান্ডার মো. বদিউর রহমান বন্টিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, সাংগঠনিক কমান্ডার সুলতান আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা ইউনিট কমান্ডার এম এ হালিম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র এসএম রাকিবুল আহসান, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ বেপারী, কলাপাড়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ রানা প্রমুখ।

 

শাজাহান খান বলেন, ‘১৯৭৮ সালের জানুয়ারিতে জিয়াউর রহমান চট্রগ্রামে একটি সভায় গিয়েছিলেন। সেখানে বিএনপি নেতা ডা. ইউসুফ জিয়াউর রহমানকে বলেছিলেন, আমরা তো ইসলামী ভাবধারার রাজনীতি করি, কিন্তু আমাদের পতাকায় কোনো ইসলামের চিহ্ন নেই। তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, হবে হবে আমাকে আগে ওই হিন্দুর লেখা জাতীয় সংগীত পাল্টাতে দাও।’

 

তিনি বলেন, ‘৩০ লাখ মানুষের রক্ত দিয়ে যে জাতীয় সংগীত আমরা অর্জন করলাম, একটি জাতীয় পতাকা অর্জন করলাম তাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল জিয়াউর রহমান। এভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নস্যাৎ করে, বিনষ্ট করে এদেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টির পায়তারা করা হয়েছিল।’  

 

হেফাজতে ইসলামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার গত মেয়াদের শেষ সময়ে ধর্মের নামে, হেফাজতে ইসলামের নামে ঢাকা শহরে এক সমাবেশ করে পবিত্র কোরান শরীফ ও হাদিস শরীফ পুড়িয়েছিল। এমনকি বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঢুকে জায়নামাজে আগুন দিয়েছিল। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় জোট এসব করেছে। উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা, ক্ষমতাচ্যুত করা।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনের নাম দিয়ে কাবা শরীফের অবমাননা করা হয়েছে, একথা বলে নাসিরনগরে অগ্নিসংযোগ, বাড়ি-ঘর, জ্বালাও-পোড়াও করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কৌশল বেগম খালেদা জিয়া এবং জামায়াত-শিবিরের। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। অগ্নিসংযোগ, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে-পিটিয়ে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, সে হত্যাকাণ্ডেরও বিচার করতে হবে। সেই আসামী খালেদা জিয়া হোক আর যেই হোক, তার বিচার আমরা করে ছাড়ব।’  

 

মন্ত্রী শাজাহান খান কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মন্ত্রীকে ফুল এবং ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন। এর আগে শুক্রবার রাতে তিনি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ, গণবিচার আন্দোলন ও শ্রমিক-কর্মচারী, পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের’ যৌথ উদ্যোগে এক জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দেন।

 

বিবার্তা/উত্তম/নিশি  

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com