শিরোনাম
গোপালগঞ্জের একজন সুলাইমানের করুন কাহিনী
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৮, ২২:২০
গোপালগঞ্জের একজন সুলাইমানের করুন কাহিনী
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মোহাম্মদ সুলাইমান নামে একছাত্র ২০১৫ সালে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। খুব অল্প দিনেই মোহাম্মদ সুলাইমান বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।


২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণা নামে একজন ছাত্রী দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। সুবর্ণাকে বাঁচাতে এবং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিকে অনুরোধ করে। সুবর্ণার অবস্থার অবনতিতে ছাত্র সমাজ আন্দোলন গড়ে তোলে। পরবর্তীতে ছাত্র/ছাত্রীদের দাবি পূরণ করে সুবর্ণাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ভিসির একটা গোপন রাগ থেকে যায় মোহাম্মদ সুলাইমানের উপর।


মোহাম্মদ সুলাইমান ২য় বর্ষে পরীক্ষার আগে জানতে পারে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সুলাইমান দফায় দফায় তার অন্যায়ের কারণ জানতে চেষ্টা করেছে। বার বার ক্ষমা প্রার্থনা করেছে কিন্তু তার বহিষ্কার আদেশ বাতিল হয় নাই। মোহাম্মদ সুলাইমান অপেক্ষা করে পরবর্তী বছর পরীক্ষা দিয়ে পাশ করবে। কিন্তু এ বছরও তাকে পুরাতন আদেশ নতুন করে বহাল রাখে। কেটে গেলো ২ বছর এখনো মোহাম্মদ সুলাইমানের বহিষ্কার আদেশ বাতিল হয় নাই।


স্বপ্নের জীবন মোহাম্মদ সুলাইমানের এখন নষ্ট প্রায়। কোথায় মুখ দেখাবে কি ভবিষ্যৎ তার। একজন শিক্ষক ছাত্রকে কেন ক্ষমা করতে পারবে না। কি অন্যায় তার? কেন সুলাইমানের জীবনটা ধ্বংস হবে। মোহাম্মদ সুলাইমান সমাজের সবার কাছে বিচার প্রার্থনা করছেন।


মোহাম্মদ সুলাইমান বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে ভিসি স্যারকে বার বার অনুরোধ করেও কোনো ফল পাই নাই। আমাকে মাফ করে দিতে বার বার অনুরোধ করলেও আমাকে মাফ করেন নাই তিনি। আমার জীবন ধ্বংস না করার জন্য ভিসি স্যারকে অনেকেই অনুরোধ করেছেন কিন্তু তিনি কারোর অনুরোধ রাখেন নাই বলেও জানায় মোহাম্মদ সুলাইমান।


মোহাম্মদ সুলাইমান ক্ষমা ভালবাসায় মানুষের মতো মানুষ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে এদেশের সুনাম উজ্জ্বল করবে। সুলাইমানের ক্ষমা কেন হবে না ভিসি স্যার? এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মনে। একজন সহপাঠীর জীবন বাচাতে চেষ্টা করে তার জীবনটা নষ্ট হবে এ কেমন কথা। তাই অচিরেই মোহাম্মদ সুলাইমানের উপর আরোপিত বহিষ্কার আদেশসহ সব আইন তুলে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবক মহল।


বিবার্তা/শিমুল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com