টাঙ্গাইলের মধুপুরে আলোচিত গণধর্ষণ মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর এই রায় দেন। এসময় ধর্ষকদের সহযোগী এক নারীসহ ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
রাষ্টপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের স্পেশাল পিপি ফজলুল কাদের। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
আসামিরা হলো- বীথি, নুরুজ্জামান, হারুন অর রশিদ, শাহজাহান ও মনিরুজ্জামান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর আসামি বীথি মামাত বোনের বিয়েতে ভিকটিম বান্ধবীকে নিয়ে যায়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে নুরুজ্জামান, হারুন, শাহজাহান ও মনিরুজ্জামানের হাতে তুলে দেয় এবং নুরুজ্জামানে বাড়িতে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তিনদিন পর অসুস্থ ভিকটিমকে ধর্ষণে সহায়তাকারী আসামি বীথি বাড়ির কাছে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। সেই সাথে তারা ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যা করবে বলেও ভয় দেখায়। এতে ভিকটিম আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাটি লুকানোর চেষ্টা করে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। এঘটনায় ভিকটিমের ভাই টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ডাক্তারি পরীক্ষা ও ভিকটিমের স্বীকারোক্তিতে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা মধুপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান সহায়তাকারী বীথিসহ পাঁচ ধর্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর বৃহস্পতিবার ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেক আসামীকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।
এর আগে, এলাকায় প্রভাবশালী আসামিদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের আদালতে মামলা পরিচালনা করতে না পেরে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে মামলাটি গাজীপুরে স্থানান্তরিত করা হয়।
বিবার্তা/তুহিন/প্লাবন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]