লাগামহীন ভাবে বেড়েছে পানের বাজার। হঠাৎ এভাবে পানের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার অল্প আয়ের পান পিপাসীরা। দেখা মিলছে না পান পিপাসীদের মুখ ভরে পান চিবিয়ে গল্প করার দৃশ্য।
অধিকাংশ পান পিপাসী চাহিদা মতো খেতে পারছেন না পান। বড় পানের অনেক দাম হওয়ায় ছোট ছোট ঝরা পান কিনতে হচ্ছে চার-পাঁচ গুণ দাম দিয়ে। এভাবে পানের বাজার বাড়ায় লাভবান হচ্ছেন গয়েসু জাতের পান চাষীরা। তবে লালডিঙ্গি জাতের পান চাষীদের হতাশাই বেশি। কারণ শীত কালীন কুয়াশায় ঝরে পড়েছে পান। বৃষ্টি না থাকায় নতুন করে ধরছে না পানপাতা।
পানের দাম বাড়ায় অনেকেই বলছেন, ১ কেজি গরুর মাংসের দামে কিনতে হচ্ছে ২পন পান। সর্বনিন্ম ১পন পানের দাম ৬০ টাকা থেকে ৭০টাকা। ভালোমানের ১পন পানের দাম প্রায় ২৩০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। এতে করে পান পিপাসীরা বাজারে পান কিনতে এসে বিপাকে পড়ছেন। এক মাস আগেও ১পন মাঝারী পান ছিলো ৫০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায়।
কার্পাসডাঙ্গা বাজারের পান ব্যবসায়ী বাসু জানান, বাজার বাড়ায় বড় পান বড় ব্যবসায়ীরা নিয়ে যায়। মধ্যম পানের পন প্রতি ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। যে পান গুলো বরজ মালিকরা ফেলে দিতেন এগুলোই এখন কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় প্রতি পন।
জানা যায়, দামুড়হুদায় সবচেয়ে বেশি পান পাওয়া যাচ্ছে উপজেলার রুদ্রনগর, গোবিন্দপুর, কুশাঘাটাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পান চাষের বরজ বেশি। একাধিক পান চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতের সময়ে গয়েসু পান তুলনামূলক অনেক কম ঝরে। এজন্য গয়েসু চাষীরা বেশি লাভবান।
পান চাষী প্রতাপপুর গ্রামের মো. বখতিয়ার মিয়া বলেন, গয়েসু ও লালডিঙ্গি জাতের পানের চাষ এ এলাকায় বেশি চাষ করা হয়। আর চুয়াডাঙ্গা জেলা তো পান চাষের জন্য বিখ্যাত। কুয়াশায় লালডিঙ্গি পান ঝরে পড়ায় গয়েসু জাতের পানের বাজার আকাশ ছোঁয়া। গয়েসু বড় পান পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা পন, লালডিঙ্গি ১৯০ টাকা পন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, পানের দাম বাড়তি থাকায় পান চাষিরা লাভবান। দামুড়হুদায় ৭৫ হেক্টরেরও বেশি জমিতে পান চাষ হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রায় ২২০০টিরও বেশি পানের বরজ রয়েছে।
বিবার্তা/সালেকিন/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]