শিরোনাম
শুরু হচ্ছে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের কাজ
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:৪৪
শুরু হচ্ছে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের কাজ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ফেব্রুয়ারী মাসেই শুরু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের রেলওয়ে রুটের কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের কাজ। এর আগে কাজের তারিখ কয়েকবার পরিবর্তন করা হলেও রবিবার কুলাউড়ার কর্মরত সাংবাদিকদের সরাসরি এই দিনক্ষণের কথা জানালেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সেকশন পূর্বাঞ্চলের জিএম মো: আব্দুল হাই।


এর আগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের কাজ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মো: আব্দুল হাই। তিনি সিলেট হয়ে বড়লেখার শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে আসেন।


এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বহুল কাঙ্খিত কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল সেকশনের কাজ আগামী ফেব্রুয়ারীতেই চালু হবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রাদির কাজ সম্পাদন হয়ে গেছে। এখন শুধু মানুষ স্বশরীরে এসে কাজ শুরু করবে।


তিনি বলেন, কুলাউড়া-শাহবাজপুর লাইন চালুর জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতের কালিন্দী রেল নির্মাণ (টেক্সমাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিডেটের একটি বিভাগ)- এর সঙ্গে পুনর্বাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ৫২ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন করা হবে।


তিনি জানান, এই রুটে রেলওয়ের ৪৪ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার মেইনলাইন ও ৭ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার লুপ লাইন পুনর্বাসন করা হবে। ছয়টি স্টেশন (চারটির ক্লাস-বি, দুটির ক্লাস-ডি) হবে- জুড়ী, দক্ষিণবাগ, কাঁঠালতলী, বড়লেখা, মুড়াউল ও শাহবাজপুর। ১৭টি বড় সেতু ও ৪২টি ছোট সেতু বা বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।


বাংলাদেশ রেলওয়ের কুলাউড়া-শাজবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭৮ কোটি ৫০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১২২ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার টাকা, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) মাধ্যমে সংস্থান হবে ৫৫৫ কোটি ৯৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।


তিনি আরও বলেন, এই রেললাইনের প্রকৃতি হবে ডুয়েল গেজ। তবে এটা ব্রড গেজ এ রুপান্তর করা যাবে। তাছাড়া এই রুটে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করবে। এই রুটে মালবাহী ট্রেন ছাড়াও যাত্রীবাহী ট্রেুন যাতায়াত করবে। তিনি জানান, কুলাউড়া-শাহবাজপুর লাইনে ৫টি যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেন চলবে।


রেলওয়ের জিএম বলেন, মাস-তিনেকের মধ্যেই ৮৬ জন স্টেশন মাষ্টার নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্টেশন মাষ্টার নিয়োগ হলেই বন্ধ স্টেশনগুলো খুলে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে এই অঞ্চলের স্টেশনগুলোকেই গুরুত্ব দেয়া হবে।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কুলাউড়া স্টেশনের যাত্রীদের তুলনায় ট্রেনের টিকেট সংখ্যা অপ্রতুল আমি জেনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। কুলাউড়া জংশন স্টেশনের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট চাহিদা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য স্টেশন মাষ্টারকে নির্দেশ দেন।


এসময় উনার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল সেকশনের পিডি তানভিরুল ইসলাম, এমসিআইপিএস আহসান জাবির সহ কুলাউড়া রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।


উল্লেখ্য, ১৮৯৬ সালের ৪ ডিসেম্বর রেলওয়ের কুলাউড়া-শাজবাজপুর সেকশন চালু করা হয়। ভারত-বাংলাদেশ যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই পথটি। ১৯৫৮-৬০ সালে এই রেলপথটি পুনর্বাসন করা হয়। ২০০২ সালের ৭ জুলাই কুলাউড়া-শাজবাজপুর রেলপথ বন্ধ হয়ে যায়।


বিবার্তা/তানভীর/শাহনেওয়াজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com