ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার সুবিচারের দাবীতে ভারতের সুপ্রিমকোর্টে করা দুটি রিটের শুনানি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানীর পর রাষ্ট্র পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হলফনামা দাখিলের জন্য ৩ সপ্তাহের সময় দিয়েছে আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামের আইন সহায়তাকারী ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। নিহত ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশের ছবি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোতে সমালোচনার ঝড় তোলে।
সে সময় বিজিবির দাবির মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। ফেলানীর বাবা দু’দফা বিএসএফ’র আদালতে সাক্ষী দিয়ে আসলেও ঐ বছর ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। রায় পুনর্বিবেচনার বিজিবির আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পুনর্বিচারে আবারো অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিশেষ আদালত।
পরে কন্যা হত্যার ন্যায় বিচারের দাবিতে ২০১৫ সালে ভারতের আইনজীবী অপর্নাভাট ও মানবাধিকার সংগঠক মাসুমের সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে রিট করেন নুরুল ইসলাম।
বিবার্তা/সৌরভ/শান্ত
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]