শরীয়তপুরের জাজিরায় সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার প্রতিবাদে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের এমপি বিএম মোজাম্মেল হকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শরীয়তপুরের মুক্তিযোদ্ধারা।

বৃহস্পতিবার সকালে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করে এবং পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এতে অংশগ্রহণ করেন, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল হাওলাদার, জাজিরার যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার, আলীম উদ্দিন শেখ, আবুল কাশেম, হাবিবুর রহমান, হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক মানিক ব্যানার্জী, জেলা যুবলীগের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, শরীয়তপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাচ্চু বেপারী, জাজিরার মূলনা ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হাওলাদার, সদর উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হোসেন সরদার, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম সরকার, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর বেপারী, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ উজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা পারভেজ মোল্লা প্রমূখ।

এসময় বক্তারা বলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক সম্প্রতি শরীয়তপুরের জাজিরায় মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে। যা দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল। ইতোমধ্যে তার ভিডিওচিত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। যা মুক্তিযোদ্ধাদের চরমভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ সহ বিচার দাবি করছি।

এসময় বিএম মোজাম্মেল হক এমপির পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন অংশগ্রহণকারীরা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাজিরার আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান, বাবুল আকন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, নজরুল ইসলাম মাল, যুবলীগ নেতা নিপু মিয়া, সুমন বেপারী, সাবেক ছাত্রনেতা জামাল ফকির, পাভেল মুন্সী, জাহাঙ্গীর আলম, সবুজ বেপারী, ছাত্রনেতা সোহাগ পাহাড়, শাহিনুর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর চৌকিদার, আজগর সরদার, শামীম, স্মরণ প্রমূখ।

বিবার্তা/রোমন/শান্ত