শিরোনাম
নলছিটি সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:৩৩
নলছিটি সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সরকারী চাকরিজীবী হয়েও ইচ্ছামতো ঘোরাফেরা, বাসায় ঘুমানো, কাজে ফাঁকি দিয়ে হাজারো অনিয়ম, এমনকি বছর বছর নতুন মোটরসাইকেল কেনা এবং চিফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজের অজান্তে তার নাম ভাঙানোর মতো অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. জহিরুল হক খানের বিরুদ্ধে।


তার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় কার্যালয়টির কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী থেকে সহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির পর অন্যত্র বদলি হওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি এখনও নলছিটিতে কর্মরত রয়েছেন। সব মিলিয়ে নলছিটি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরটিতে বর্তমান হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে।


ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, উপজেলার মধ্যে এ কার্যালয়টি খুবই দরকারি। কিন্তু বর্তমান সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল হকের অনিয়মের কারণে কর্মচারীরাও অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। ফলে কার্যক্রম স্থবির হয়ে রয়েছে।


জানা গেছে, ঝালকাঠির নলছিটি পৌর এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে উপজেলার নান্দিকাঠিতে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’। এ নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ঢাকার মেঘনা স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সাল থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে পাইপ লাইন বসানো এবং বোরিংয়ের অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।


অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছেন নিম্নমানের পাথর, রড ও বালি। পরে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী নিন্মমানের ওই উপকরণ ব্যবহারের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলেও কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকায় রয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ। সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল হক ঠিকাদারের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে নিম্নমানের এসব উপকরণ দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।


অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়া যাবে না। কোন তথ্য পেতে হলে তথ্য অধিকার আইনে লিখিতভাবে তথ্যপ্রাপ্তির আবেদন করতে হবে। অফিসে নিয়মিত না আসা ও হাজিরা খাতার কথা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।


এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, এ কাজের ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল হক আমাকে এখনও কিছু জানাননি। উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত না করার বিষয়টি ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক স্যারকে জানানো হয়েছে।


বিবার্তা/আমিনুল/শাহনেওয়াজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com