শিরোনাম
বঙ্গোপসাগরের বুকে নতুন চর
লাল কাঁকড়া-অতিথি পাখির অবাধ বিচরণ
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:১৩
লাল কাঁকড়া-অতিথি পাখির অবাধ বিচরণ
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চারদিকে বিশাল সাগরের অথৈই পানি। লাল কাঁকড়া আর অতিথি পাখির অবাধ বিচরণ। আর প্রকৃতির এক নান্দনিক সৌন্দর্য বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা এক নতুন চর। তীর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের এ চরটি জেলেদের কাছে হাইরের চর নামে পরিচিত। কিন্তু স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা এর নাম দিয়েছেন ‘বিজয়ের চর’। চরটির প্রকৃত আয়তন সম্পর্কে কারোই ধারণা নেই। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে বোট নিয়ে মাত্র দেড় ঘণ্টায় গভীর সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ওই চরে পৌঁছানো যায় বলে জানিয়েছেন টুরিস্ট বোর্ড মালিকরা।


স্থানীয় ও জেলেদের সূত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমের ৬ মাস চরটি পানিতে ডুবে থাকে। শীত মৌসুমে ধু ধু বালু নিয়ে জেগে উঠে। এসময়ে তিন মাসের জন্য অস্থায়ী বাসা তৈরি করে মাছ শিকার এবং শুটকি তৈরি করে জেলেরা। মানুষের খুব একটা বিচরণ নেই বলে শীতে এখানে সমাগম ঘটে অতিথি পাখির। এরই মধ্যে এ চরটির উপর পর্যটকদের দৃষ্টি পরেছে বলে স্থানীয়রা জানান।


চরটি ঘুরে এসে আমির হোসেন বলেন, বন বিভাগের উদ্যোগে বিজয়ের চর বা হাইরের চরে বাগান সৃজন করা গেলে প্রকৃতির ভারসম্যসহ প্রতিকূল আবহাওয়ায় রক্ষা পাবে জানমাল। বাড়বে এডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের পদচারণা। যা দেশের পর্যটন শিল্পে যোগ করবে এক নতুন দিগন্ত।



কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, লাখ লাখ পাখির কলরব আর লাল কাকড়ার বিচরণ আকৃষ্ট করবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। সঠিক পরিচর্যা ও সুন্দর যাতায়াত ব্যবস্থাই পারে এ চরকে সবার মাঝে পরিচয় করিয়ে দিতে।


ঢাকা বনশ্রীর সীমা আক্তার বলেন, কুয়াকাটার সমুদ্রে মধ্যে এত সুন্দর একটি দৃশ্য দেখব কল্পনা করেনি। যেন এক অন্য ভুবন। চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না আমাদের দেশে এরকম একটি চর জেগে উঠছে। এটি কুয়াকাটার জন্য আর্শিবাদ।
ফটো সাংবাদিক আরিফুর রহমান বলেন, এটি শুধু কুয়াকাটা নয় সেন্টমার্টিনের মত দেশের ট্যুরিজমের জন্য রোল মডেল হয়ে দাঁড়াতে পারে।


কুয়াকাটা সী ট্যুরিজমের অ্যাডমিন ও কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমবয় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি জনি আলমগীর বলেন, সমুদ্রের বুকে সুন্দর এ চরটিকে এখন সরকারি-বেসরকারিভাবে ব্র্যান্ডিং করে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এতে ভ্রমণ পিয়াসুদের কাছে কুয়াকাটার পর্যটন আরো বেশি আকর্ষণীয় হবে।


কুয়াকাটার পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্লা বলেন, চরটির কথা শুনেছি। কিছু দিনের মধ্যে পরির্দশন করে, পর্যটক আকর্ষণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/উত্তম/সোহাগ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com