শিরোনাম
রাস্তা নেই, ব্রিজ আছে!
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:৩৬
রাস্তা নেই, ব্রিজ আছে!
উত্তম কুমার হাওয়ালাদার, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রিজ তৈরী করাই আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। তাতে সেটি এখন শুধু নাম কাওয়াস্তে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রূপান্তরিত হয়েছে। এমন দৃশ্য পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। একটি সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না ওই ব্রীজ।


উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারের আরসিসি গার্ডার ব্রীজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রায় আট মাস আগে। কিন্তু সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়নি। ফলে স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে প্রতিদিন পাশের ঝূঁকিপূর্ন লোহার সেতু ব্যবহার করছেন। এতে প্রায়শই স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।


স্থানীয়রা জানা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবন রামনাবাদ নদী পাড়ের লালুয়া ইউনিয়নের সাধারন মানুষের যোগাযোগ সুবিধার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লালুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাজার এলাকার নদীতে আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মানের উদ্যোগ নেয়। এ লক্ষ্যে এলজিইডি ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৩ কোটি ৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৬২.৪৭ টাকা বরাদ্দে লালুয়া-নীলগঞ্জ ভায়া মিঠাগঞ্জ ইউপি সড়কে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ফুটপথ সহ ৭.৩২ মিটার প্রস্থ আরসিসি গার্ডার ব্রীজের দরপত্র আহবান করে। ২১ জানুয়ারী ২০১৬ ব্রীজ নির্মানের কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। এরপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ ব্রীজের কাজ শুরু করেন।


পরবর্তীতে ব্রীজের সংযোগ সড়কে কার্পেটিং সড়কের পরিবর্তে হেরিংবন্ড সড়ক অন্তর্ভূক্ত করায় বরাদ্দ কিছুটা কমে এসে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৫২ টাকা। কিন্তু ঠিকাদারী ওই প্রতিষ্ঠানটি গার্ডার ব্রীজের কাজ শেষ করার পর দীর্ঘ দিনেও সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না করায় স্থানীয়রা গার্ডার ব্রীজটির সুফল থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।


এদিকে মুক্তিযোদ্ধা বাজারের গার্ডার ব্রীজটি ব্যবহার অনুপযোগী থাকায় সাধারন মানুষ বাধ্য হয়ে পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ আয়রন ব্রীজ ব্যবহার করছেন। ফলে শিশু, বৃদ্ধ, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।


সপ্তাহ পূর্বে বুড়োজালিয়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মাহাবুল হাওলাদার মাছ বোঝাই ভ্যান গাড়ি নিয়ে আয়রন ব্রীজ অতিক্রম করার সময় ঝুঁকিপূর্ন ওই আয়রন ব্রীজের কাঠের পাটাতন ভেঙ্গে নিচে পড়ে গিয়ে তার বুকের হাড় ভেঙ্গে যায়।


স্থানীয়দের অভিযোগ, এরপরও এলজিইডির তাগিদ নেই সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করার।


কলাপাড়া এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার জানান, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত গার্ডার ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ করার সময় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করে এটি জনসাধারনরে জন্য খুলে দেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।


বিবার্তা/উত্তম/ইমদাদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com