শেরপুর শহরের উপকণ্ঠে মৃগী নদীর তীরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী তাবলীগ জামাতের জেলা ইজতেমা। বৃহস্পতিবার বিকেলে আছরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে এ ইজতেমা শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, আছরের নামাজেরর পরপরই ঢাকার কাকরাইল মার্কাজ থেকে আগত মুরুব্বীরা দ্বীন ও ইসলাম কায়েমের জন্য দাওয়াত ও বয়ানে অংশ নিচ্ছেন।

৮ একর জমির ওপর ইজতেমার জন্য প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। আছরের নামাজের পরপরই মুসুল্লীরা ইজতেমার ময়দানে এসে জমায়েত হতে শুরু করেছেন। ইজতেমা সফল করতে মাঠে রয়েছে কঠোর নিরপাত্তা ব্যবস্থা। মাঠে পুলিশ, র‌্যাবও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশপাশি তবলীগ জামাতের নিজস্ব প্রায় একহাজার সেচ্ছাসেবক সদস্যের বেশ কয়েকটি পাহারাদার কাজ করছেন।

জেলা সিভিল সার্জন বিভাগের আয়োজনে ইজতেমা মাঠের পাশে মেমোরিয়াল স্কুল প্রাঙ্গনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিকে বুধবার রাত দুইটার দিকে জেলা সদরের মান্দাখালীর বাসিন্দা ধান-চাল ব্যবসায়ী আবুল হোসেন (৭২) নামে একজন মুসুল্লী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।

শেরপুর জেলা তবলীগ জামায়াতের শুরা সদস্য অধ্যাপক মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার বেলা ১১ টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে জেলা ইজতেমা শেষ হবে। তিন দিনের এ ইজতেমায় ঢাকার কাকরাইল মার্কাস থেকে মুরুব্বীসহ দেশি-বিদেশি তবলীগ জামায়েতের মুরুব্বীরা দ্বীন ও ইসলাম কায়েমের জন্য দাওয়াত এবং বয়ান করবেন।

শেরপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ইজতেমার নিরাপত্তার জন্য সেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নের্তৃত্বে তিন শিফটে ২৩০ পুলিশ ও ২ প্লাটুন র‌্যাব সদস্যরা মাঠে কাজ করবেন।

বিবার্তা/সানী/পলাশ