কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক দ্রব্য মামলায় দুই জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মামলা দ্রুত নিস্পত্তির জন্য আগামী ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার প্রধান আসামি জেএমবির অন্যতম সদস্য রাজিব গান্ধী ও গোলাম রব্বানীকে আদালতে হাজির করা হয়। রাজিব ঢাকার হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়া হত্যা মামলারও আসামি।
কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ওএইচএম ইলিয়াস হোসাইনের আদালতে দ্বিতীয় দিনের শুনানির জন্য তাদের হাজির করা হলে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের অনুমতি দেন। এছাড়াও মামালা দ্রুত নিস্পত্তির জন্য আগামী বছরের ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
আসামী পক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবির জানান, আদালত আসামি পক্ষের বক্তব্য এবং রাষ্ট্রপক্ষের পিপির বক্তব্য অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনে ৩, ৪ এবং ৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, রাজিব গান্ধী ও গোলাম রব্বানী দুই আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ শুনানি হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে ৩, ৪ এবং ৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করেছেন। মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির জন্য আগামী ২৩ এবং ২৪ জানুয়ারি পর পর দুই দিন স্বাক্ষ্যের জন্য ধার্য করেছে।
২০১৬ সালের ২২ মার্চ কুড়িগ্রাম সদরের গাড়িয়াল পাড়া এলাকায় সকালে প্রাত ভ্রমনের সময় নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ধর্মান্তরিত খৃষ্টান মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে। এ সময় হত্যাকারীরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটর সাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুইটি মামলা হয়।
মামলায় সাত আসামির মধ্যে চারজন ইতোফূর্বে হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া, নান্দাইল ও রাজশাহীতে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। বাকী এক আসামী এখনো পলাতক রয়েছে।
আটক জেএমবি সদস্য রাজীব গাইবান্ধা জেলার সাঘাটার ভুতমারা বোনারপাড়া গ্রামের ওসমান মোল্লার ছেলে এবং গোলাম রব্বানী কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তালুক নাককাটির একতীরের আড়া গ্রামের নুর হোসেন ব্যাপারীর ছেলে।
বিবার্তা/সৌরভ/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]