শিরোনাম
সভায় জামায়াত নেতা, বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৫৯
সভায় জামায়াত নেতা, বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলছিলো। এই অনুষ্ঠানে শনিবার দুপুরে জামায়াত সমর্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলীর বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে সভা বর্জন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।


মন্ত্রীর সভাস্থল ত্যাগের পর জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে মাহফুজার রহমান ফিলিপস (৪৩)নামের একজন আহত হয়। তাকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।


এ ঘটনার আগে মন্ত্রী ওই ভবনের ফলক উম্মোচন ও ফিতা কেটে ভবনের উদ্ধোধন করেন।


জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ রাশেদুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।


এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরীগঞ্জ আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুজিবুর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রিয় কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক সরকার ফারহানা আখতার সুমি, জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হামিদুর রহমান প্রমূখ।


উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের সভা শুরু কিছু পরে উক্ত সভায় জামায়াত সমর্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী বক্তব্য দিলে বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আসে। মন্ত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চান কিভাবে এখানে জামায়াত সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান বক্তব্য দিলেন? তবে তিনি তার উপযুক্ত উত্তর দিতে পারেনি। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে মন্ত্রী সভাস্থল ত্যাগ করেন যাতে সভা পন্ড হয়ে যায়।


মন্ত্রী সভাস্থল ত্যাগের পর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলেও মাহফুজার রহমান ফিলিপস আহত হয়।
এ ঘটনায় জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী বলেন, সভায় জামায়াত সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় মন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে সভা বর্জণ করেন।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভার সভাপতি জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান কোনো মন্তব্য করেননি।


তবে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী দাবি করেন তিনি কোনো দল করেন না। তিনি বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদের দেয়া আমন্ত্রণপত্র পেয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছি। আমাকে বক্তব্য দিতে বলায় বক্তব্যও দিয়েছি। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে আমাকে এরকম একটি পরিস্থিতিতে ফেলানো হলো।’


নীলফামারী -৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করবার শর্তে বলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এখানে কোনো রকম দোষ নেই । কারণ কোনো উপজেলায় মন্ত্রী মহাদয়দের কর্মসূচী থাকলে তার সকল দায় দায়িত্ব ও সকল কর্মসূচী ঠিক করে থাকে স্ব-দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য। তাই এর দায়ভার তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না । আমাদের ধারণা স্থানীয় এমপি’র নির্দেশেই ওই জামায়াত নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।’


বিবার্তা/সুজন/ইমদাদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com