পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করায় ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র উপকূল থেকে শাপলা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। মাত্র কয়েক বছর আগেও এলাকার খাল-বিলে রং-বেরংয়ের শাপলার বাহারী রূপ নজর কাড়তো সবার। কিন্তু এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুড়লেও চোখে পড়ে না এই সৌন্দর্য্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা থেকে শরতের শেষ পর্যন্ত বিল জলাশয় ও নিচু জমিতে প্রাকৃতিকভাবে এ শাপলার জন্মাতো। জমিতে অধিক মাত্রায় আগাছা নাশক ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে এখন সেই শাপলা ক্রমশই হারিয়ে যেতে বসেছে। এসময় এ এলাকার মানুষ শাপলার ফল দিয়ে সুস্বাদু খৈ ভাজাতো। প্রত্যন্ত গ্রাম গাঁয়ে (ঢ্যাপের খৈ) বলে পরিচিত। মাটির নিচের মূল অংশকে স্থানীয় ভাষায় শালুক বলা হয়।
শিক্ষক মুজিবুর রহমান জানান, শাপলার ভেষজ গুণও কম নয়। শাপলা সাধারণত লাল ও সাদা রংয়েরই চোখে পড়েছে। এছাড়া আরো বেশ কয়েক রংয়ের শাপলা রয়েছে। এর মধ্যে লাল ও সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি হিসেবে ভোজন রসিকরা খায়। তবে লাল রংয়ের শাপলা ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। লাল ও সাদা রংয়ের শাপলা খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি। শাক-সবজির চেয়ে এর পুষ্টিগুন খুব বেশি। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। তিনি আরো জানান, শাপলা চুলকানী ও রক্ত আমাশয়ের জন্য বেশ উপকারী।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়াল্ড কনসার্ন কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রজিব বিশ্বাস জানান, চাষের জমিতে অধিক মাত্রায় আগাছা নাশক ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে জমির উর্বরতা দিন দিন কমে গেছে। এছাড়া নিচু জলাশায় জমি ভরাট করে বসতি স্থাপন করার কারণে শাপলার বংশবিস্তার কমে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, খাল-বিল ও আবদ্ধ জলাশয়গুলো দিন দিন শুকিয়ে যাওয়ার কারণে শাপলার শালুক নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে শাপলার বংশ বিস্তারে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বিবার্তা/উত্তম/আমিরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]