টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার খালভাঙ্গা গ্রামের ভাঙ্গা বাঁধদিয়ে প্রবেশ করা পানিতে ফের প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। এছাড়া আমনের ক্ষেতসহ তলিয়ে গেছে মাছ চাষের পুকুর। ফলে ঢলের পানিতে ভেসে গেছে সব মাছ।
উপজেলা কৃষি অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, একটানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে খালভাঙ্গার ভোগাই নদীর ভাঙ্গা বাঁধদিয়ে প্রবেশ করা পানিতে নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের চরপাড়া, ছালুয়াতলা ও খড়খরিয়াকান্দার গ্রামের ৬০০ পরিবারের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের ভোগাইপাড়, বাঁশকান্দা, মরিচপাড়ান ও পশ্চিম মরিচপুরান গ্রামের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। তবে পাহাড়ী ঢলের পানি রবিবার বিকেলে থেকে আস্তে আস্তে কমতে শুরু করছে বলে জানা গেছে।
পৌর শহরের খালভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা লাইলি বেগমের দাবি তাদের গ্রামের বাধঁটা যদি ভালো করে সংস্কার করা হতো, তাহলে ফের এই বন্যার আগমন ঘটতো না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল বলেন, খালভাঙ্গা এলাকার ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এখন পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এখনো ২৫ হেক্টর বোরো আবাদ পানি নিচে রয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১৩টি স্থানের প্রায় ২ হাজার ৯১০ ফুট ভোগাই নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এতে পৌরশহর ও আটটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫,৬০০ পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়ে। এছাড়া আমনের ক্ষেত তলিয়ে যায়, একই সাথে পুকুরের মাছ ঢলের পানিতে ভেসে যায়।
বিবার্তা/সানী/আমিরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]