মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি) প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার পাকা রাস্তার প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচলেরও অনুপযোগী। এতে করে এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাস্তার নির্মাণ কাজে চরম অনিয়ম ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে রাস্তাগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ রাস্তাগুলোতে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। বন্যার অবনতিতে হওয়ায় গত তিন মাসে ৫৩ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে যায়। এতে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার বর্নি, তালিমপুর ও সুজানগর ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট দীর্ঘদিন ডুবে থাকায় রাস্তাগুলো মারাত্মকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জবাজার-ভোলারকান্দি, সুজানগর-বাঘমারা ভায়া কানুনগোবাজার, তেরাকুড়ি ভায়া কাঠালতলী রাস্তার বিভিন্ন স্থানের পিচ উঠে পাথর সরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। ফলে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসীকে খানাখন্দে ভরা বিধ্বস্ত এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রতিদিনই ঘটছে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।
খানাখন্দে ভরা চলাচল অনুপযোগী রাস্তাগুলো হচ্ছে- দাসেরবাজার-বাছিরপুর ৪১ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় ১৬ কিলোমিটার। বড়লেখা পাখিয়ালা চৌমুহনী হতে হাকালুকি কানুনগোবাজার রাস্তার প্রায় ৭ কিলোমিটার। দাসেরবাজার-বর্নি-গোদামবাজার রাস্তার ৪ কিলোমিটার ভেঙ্গে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষকে চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কাঠালতলী-তেরাকুড়ি ভায়া আজিমগঞ্জ রাস্তা, পাখিয়ালা-কেছরিগুল রাস্তা, বড়লেখা-সাতকরাকান্দি রাস্তায় এই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যেখানে পায়ে হেটে চলাই দুঃসাধ্য।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ ভূষণ পাল বিবার্তাকে জানান, গত ৩ মাসের বন্যায় উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামীণ রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্থাগুলোর মেরামত কাজের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
বিবার্তা/আরিফ/প্লাবন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]