বন্যায় কুড়িগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। কাঁচা সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট ও বাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের। এ অবস্থায় দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা-ঘাট মেরামত ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করে দুর্ভোগ কমানোর দাবি বন্যাদুর্গতদের।
টানা ৮ দিনের বন্যায় কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তাসহ নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট। উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে এসব এলাকার কাঁচা সড়ক, ব্রিজ-কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, জেলায় ১৪৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, পাকা সড়ক ২৫ কি.মি ও ১.৫ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ২৩টি ব্রিজ কালভার্ট ভেঙ্গে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনো রকমে যাতায়াত করছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট।
বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ভাঙ্গা ব্রিজ-কালভার্টে যাতায়াতের ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বানভাসিদের। যানবাহনে চলাচল করতে না পারলেও পায়ে হেঁটে এবং নৌকাযোগে কোনো রকম হাট-বাজারসহ প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছীর রাজারহাটে গিয়ে দেখা যায়, এলজিইডির মেরামত করা ৮ কি.মি পাঁকা সড়ক সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। ওই কাজের নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খায়রুল এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার সানাউল কবির লেলিন জানান, কাজ সমাপ্তিলগ্নে আকস্মিকভাবে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় আমার ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন জানান, বন্যায় যে সব উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কাঁচা সড়ক ও ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ-কালভার্ট ও সড়ক মেরামতের কাজ করা হবে।
বিবার্তা/সৌরভ/মোয়াজ্জেম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]