চলনবিল তথা নাটোর জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য আড়ৎ সিংড়ায়। সেখানে প্রতিদিন দু’কোটি টাকার মাছ বেচা-কেনা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা এখানে আসেন মাছ কিনতে। ভোর হতেই আড়ৎ সরগরম হয়ে ওঠে। কাক ডাকা ভোরে চলনবিলের মাছ চলে যায় দেশের প্রায় ২০টি জেলায়।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী আড়ৎকে ফরমালিন মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেন। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা চলে আসেন চলনবিলের মাছ কিনতে।
পাইকাররা জানান, সেখানে আবাসিক হোটেল না থাকায় নাটোরে থাকতে হয় তাদের। খুব ভোরে সেখান থেকে এসে বাজার থেকে মাছ কিনতে হয়। তাছাড়া অন্য কোন সমস্যা নাই। কোনো অতিরিক্ত চাঁদা দিতে হয় না। এদিকে চৌগ্রামেও মৎস্য আড়ৎ রয়েছে। সেখান থেকেও তারা মাছ ক্রয় করেন বলে জানান।
সিংড়ায় হ্যাঁচারি না থাকায়, তারা পোনা মাছ সরবরাহ ঠিকমতো পান না। এ জন্য হ্যাঁচারি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি বলে স্থানীয়রা জানান।
মৎস্য কর্মকর্তা ওমর আলী বলেন, চলনবিল মৎস্য সম্পদ এলাকা। এলাকায় ১৩টি বিল নার্সারির প্রকল্প চলমান রয়েছে। এতে করে আগামীতে মাছের উৎপাদন আরো বাড়বে বলে তিনি জানান। তাছাড়া তিনটি মৎস্য অভয়াশ্রম রয়েছে। যেখানে মা মাছ সংরক্ষণ করে পোনা ছাড়া হয়। চলনবিল মূলত মৎস্য আহরণ এবং সংরক্ষণ এলাকা।
তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি জানান, চলনবিল বাংলাদেশের বৃহৎ বিল। এখানে প্রায় সাত হাজার জেলে রয়েছেন। তাছাড়া মৎস্য চাষে জড়িত কয়েক হাজার পরিবার। চলনবিলের মাছ দেশের চাহিদা পূরণ করছে। সিংড়ায় ১৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। অত্র এলাকায় চাহিদা আট হাজার মেট্রিক টন। যা গর্বের বিষয় বলে দাবি করেন।
বিবার্তা/রাজু/আমিরুল/মোয়াজ্জেম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]