দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বাবার কাছ থেকে মেয়েকে ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে, তাদেরকে হাজতে প্রেরণ করা হয়।

জানা গেছে, বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের সনকা গ্রামের মো. সাকিল হোসেন তার ১৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কুড়িটাকিয়া হাটের ভাকুড়ার মোড়ে আসলে ঘোড়াবান্দ গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে আল আমিন (২৫) ও টুনু মিয়ার ছেলে মোবাইদুল ইসলাম (২৭) তাদের গতিরোধ করেন এবং তার নাবালিকা মেয়েকে ছিনিয়ে নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। সারা রাত অনেক খোজাখুঁজি করে মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে, শুক্রবার সকালে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সামছুল ইসলামকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন সাকিল। গ্রাম পুলিশ সামছুল ইসলাম অনুসন্ধান চালিয়ে পাশের একটি লিচু বাগান থেকে অপহৃত ওই মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। অভিযুক্ত আল আমিন ও মোবাইদুলকে আটক করে ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

পাল্টাপুর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিমুল আলম ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসায় বসেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন।

পরে শনিবার রাতে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ নির্যাতিতাকে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদের হাজতে প্রেরণ করেছেন।

বীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মছিউল গনি জানান, নির্যাতিতার বাবা মো. সাকিল বাদী হয়ে আটক দুই যুবকসহ তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

বিবার্তা/শাহী/আমিরুল/মোয়াজ্জেম