শিরোনাম
বাহুবলে চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০১৭, ১৮:৪৫
বাহুবলে চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

হবিগঞ্জে কর্তৃপক্ষের ওপর অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে দীর্ঘ দু’যুগ ধরে এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তির অবসান মিলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের আওতাভুক্ত হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সীমান্তে লস্করপুর-ফদ্রখলা রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তা দিয়ে ১৫টি গ্রামের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।


এতে অনেকই বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কয়েকবার রাস্তাটিতে অপরিকল্পিত ও নিম্নমানের সংস্কার কাজ করা হয়। এতে সরকারের শুধুমাত্র অর্থই ব্যয় হয়েছে, জনসাধারণের দুর্ভোগ কমেনি। এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে রাস্তাটির পাশে ৩০ ফুট গভীর খাদ থাকায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তার পাশ ভেঙে মরণফাঁদে পরিণত হয়। এলাকাবাসী এই মরণফাঁদ থেকে রেহাই পেতে রাস্তাটি ৩/৪ ফুট নিচু করে সংস্কারের দাবি জানিয়ে বহুবার আবেদন করার পরও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি।


সওজ থেকে জনপ্রতিনিধি, প্রত্যেকের দুয়ারে ধর্ণা দিয়ে কাজ না হওয়ায় এলাকার লোকজন বৈঠক করে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ‘রাস্তা সংস্কার কমিটি’ গঠন করে চাঁদা তোলার উদ্যোগ নেয়। লাখ টাকারও বেশি বাজেট নিয়ে গত সপ্তাহে শুরু হয় সংস্কার কাজ।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এসকেবেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে পুরনো পিচ ঢালা পথ কেটে ৩-৪ ফুট নিঁচু করে প্রায় ১৫ ফুট প্রসস্থ করা হচ্ছে। এ কাজে অনেকেই নিজ ইচ্ছায় বিনা পারিশ্রমিকে সহায়তা ও তদারকি করছেন।
রাস্তা সংস্কার কমিটির সদস্য সাবেক মেম্বার মাসুদ রানা বলেন, কয়েকবার রাস্তায় পিচ ঢালা হলেও রাস্তাটি তুলনামূলক উঁচু এবং পাশে খাদ থাকায় রাস্তাটি ভেঙে পড়ে এবং মরণফাঁদ তৈরি হয়। একাধিকবার আবেদন করার পরও কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি নিচু করতে রাজি হয়নি। তাই এলাকাবাসীরা চাঁদা তুলে উপজেলা প্রকৌশলীর পরামর্শ মতে মাটি কেটে রাস্তাটি নিঁচু ও প্রশস্থ করার দায়িত্ব নিয়েছি।


ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন লিয়াকত বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি নিঁচু করে সংস্কার করতে সরকার বরাদ্দ দিবে না, তাই এলাকাবাসীর অর্থায়নে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে।


উপজেলা প্রকৌশলী সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি জানানো হলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।


উপজেলা নির্বাহী প্রকোশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় উদ্যোগে রাস্তা নিঁচু হচ্ছে এতে কোনো সমস্যা নেই। আমরা শুধুমাত্র পুরাতন রাস্তাগুলো মেরামতের জন্য স্কিম পাঠাচ্ছি। এ রাস্তাটির সংস্কারকৃত এক কিলোমিটার জায়গা পাকাকরণে সংসদ সদস্যের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।


বিবার্তা/কাজল/আমিরুল/মোয়াজ্জেম

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com