ভারি বর্ষণে বান্দরবানের রুমায় পাহাড়ধসের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন। আরো তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সড়কটিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
নিহতের নাম, চিংমে হ্লা মার্মা। নিখোঁজরা হলেন, চিংমেচিং (১৭) ও মুনি বড়ুয়া (৩৫)। মুনি বড়ুয়া পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা। অন্য জনের নাম জানা যায়নি।
সূত্র জানায়, রবিবার সকালে বান্দরবান-রুমা সড়কের দলিয়ানপাড়া এলাকায় সড়কে পাহাড় ধসে পড়ে। ফলে রুমা থেকে আসা বাসযাত্রীরা ওই জায়গাটুকু হেটে পার হচ্ছিলেন। এসময় পাহাড় ধস হলে সাতজন মাটিচাপা পড়েন।
স্থানীয়রা তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করে। সেনা ও দমকল বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে একজনের লাশ উদ্ধার করে এবং এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
সেনাবহিনীর প্রকৌশল বিভাগ ১৯ ইসিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইফতেখার জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
পাহাড়ধসের এলাকা পরিদর্শন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বড়ুয়া ও জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
বান্দরবানের মৃত্তিকা সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখনো ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
গত ১২জুন অবিরাম বর্ষণে পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ ৯ জন নিহত হন। বান্দরবান-রুমা উপজেলা সড়কের দলিয়ানপাড়া এলাকায় পাহাড়ধসে প্রায় একমাস সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
বিবার্তা/নয়ন/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]