রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় শ্বাশুড়ি ও দেবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার করচাডাঙ্গী গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১০ জুলাই সকালে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

বালিয়াকান্দি থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, ২০০৮ সালের ২১ এপ্রিল বালিয়াকান্দি উপজেলার করচাডাঙ্গী গ্রামের রফিকুল ইসলামের (৩৩) সাথে একই উপজেলার শদাশিবপুর গ্রামের ফজলু শেখের মেয়ে ফরিদা পারভীন (২৫) এর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পরিবারের সকল সদস্যের পরামর্শে রফিকুল যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন শুরু করে। এরই মধ্যে তিনি গর্ভবতীও হন। কিন্তু স্বামীর নির্যাতনের ফলে তার পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। একপর্যায়ে তার স্বামী রফিকুল বিদেশ চলে যায়। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর তিনি তার বাবার বাড়িতে থাকতেন।

তিনি আরো জানান, ২৩ জুন তার স্বামী বিদেশ থেকে বাড়িতে আসেন। কিন্তু তার কোন খোঁজ খবর নেন না। সে কারণে তিনি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল হোসেনকে জানান। এরপর চেয়ারম্যান আবুল হোসেন রফিকুলকে খবর দিয়ে আনেন। পরে চেয়ারম্যানের অনুরোধে রফিকুল তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নেয়ার পর তার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে অস্বীকার করায় ১০ জুলাই সকালে তার ওপর নির্যাতন শুরু করে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়।

এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। এরপর তাকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২১জুলাই নির্যাতিতা ফরিদা বাদী হয়ে স্বামীসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে তার শ্বাশুড়ি রুপবান বেগম ও দেবর নজরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

বিবার্তা/শিহাব/মোয়াজ্জেম