শিরোনাম
চাপ কমাতে কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়া হচ্ছে
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০১৭, ১৫:০৫
চাপ কমাতে কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়া হচ্ছে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ বাড়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে কাপ্তাই হ্রদের বাঁধের সবক’টি স্পিলওয়ে আধা ফুট করে খুলে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ১৬টি স্পিলওয়ে আধা ফুট করে খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে।


উজানে পাহাড়ি এলাকায় কয়েক দিনের অতি বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দিনে হ্রদে দেড় ফুট পানি বেড়েছে। বাঁধের উপরে বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে পানির স্তর। তাই অতিরিক্ত পানি কর্ণফুলী নদীতে ছাড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আবদুর রহমান।


তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে হ্রদে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১৯ ফুট পানি বেশি রয়েছে। ২৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১টি ইউনিট নষ্ট থাকায় বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ৪টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।


কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েকদিন ধরে উজানের পাহাড়ি এলাকায় থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়তি পানির কারণে কাপ্তাই লেক তীরবর্তী শতশত ঘরবাড়ি, খেত খামার, আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির কারণে লেকে পানি আরো বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা থাকায় লেক থেকে পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।


স্বাভাবিক নিয়মে এই সময় কাপ্তাই হ্রদে ৮৭.০ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) পানি থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে পানি রয়েছে ১০৫.৮২ এমএসএল। কাপ্তাই বাঁধের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বাড়তি পানির চাপ সামলাতে ১৬টি গেট খুলে পানি ছেড়ে দেয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদী দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪টি মেশিনের মাধ্যমে পানি ছাড়া হচ্ছে সেকেন্ডে ২৬ হাজার কিউসেক। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট একসাথে চালু থাকলে পানি ছাড়ার প্রয়োজন হতো না। তখন ইউনিটের জেনারেটরের মাধ্যমে পানি ছাড়া হতো ৩৪ হাজার কিউসেক। ১টি ইউনিট নষ্ট থাকায় এখন চালু আছে ৪টি।


কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আবদুর রহমান জানান, পানির চাপ কমাতে দিনরাত কেন্দ্রের চারটি ইউনিট চালু রেখে সর্বোচ্চ ১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে গেলেও উজান থেকে আসা পানির চাপ কমানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে স্পিলওয়ে দিয়ে পানি ছাড়ার প্রয়োজন পড়েছে। অবস্থার উন্নতি না হলে পানি ছাড়ার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com