শেরপুরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ মামলায় এক যুবকের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। সোমবার বিকেলে শেরপুরের শিশু আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন এ সাজা দেন।

সাজাপ্রাপ্ত মাসুদ মিয়া (২২) শেরপুর শহরের চাপাতলি এলাকার আব্দুল মালেক ড্রাইভারের ছেলে। আদালতে মাসুদ মিয়ার উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।

আদালতের রাষ্টপক্ষের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার বাথুয়ারকান্দা গ্রামের এক ব্যক্তি শেরপুর সদর শহরের চাপাতলি এলাকায় তার ১৭ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। চাপাতলি মহল্লার আব্দুল মালেক ড্রাইভারের ছেলে মাসুদ মিয়া ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে মেয়ের বাবা বাধ্য হয়ে অনার্স পড়ুয়া ছেলের সাথে মেয়েটির বিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও দমে না গিয়ে মাসুদ ২০১৬ সালের ২০ মার্চ অস্ত্রের মুখে ওই স্কুছাত্রীকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিশু আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কামরুল হাসান ঘটনার চার মাস পর ভিকটিমকে উদ্ধার করে অপহরণকারী মাসুদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে সাত ব্যক্তির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মাসুদকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

বিবার্তা/সানী/মোয়াজ্জেম