জামালপুরে সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিল) অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির নামে শ্রমিক-কর্মচারীদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
কারখানার সিবিএ নেতারা প্রতি সেকশনে নির্ধারিত প্রতিনিধির মাধ্যমে সাত শতাধিক শ্রমিকের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আত্মসাতের পায়তারা করছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, যমুনা সার কারখানার বিভিন্ন সেকশনে প্রতি বছর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অডিটে আসে। অডিটে বিভিন্ন সেকশনে নানা আপত্তি ধরা পড়ে। কারখানা কর্তৃপক্ষ অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলে সিবিএ নেতাদের বাণিজ্য শুরু হয়। অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজের কথা বলে কারখানার সাত শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতিজনের কাছে চার হাজার টাকা চাঁদা ধার্য্য করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, সিবিএ সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক শাহজাহান আলী, সহসভাপতি মোসলেম উদ্দিন ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে কারখানার প্রতিটি সেকশনে একজন করে প্রতিনিধি শ্রমিক-কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন। গত সপ্তাহ থেকে শুরু করে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে চাঁদা উত্তোলন শেষ হয়। সিবিএ নেতারা অর্ধকোটি টাকা চাঁদাবাজি করে যোগসাজশে আত্মসাত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে চাঁদার হাত থেকে অফিসার, সাবেক সিবিএ বা শ্রমিকলীগ নেতা, সদ্য যোগদানকৃত বা অসুস্থ কেউই রক্ষা পায়নি। প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চললেও নির্যাতন, বদলি ও চাকরি হারানোর ভয়ে সাংবাদিকদের সাথে কেউ কথা বলতে চাননি। তবে এ নিয়ে ক্ষোভে ফুসে ওঠছে স্থানীয় শ্রমিক-কর্মচারীরা।
এ ব্যাপারে সিবিএ সভাপতি রবিউল ইসলামের বক্তব্য জানতে মোবাইলে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। অভিযোগ অস্বীকার করে সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান জানান, ‘অডিট নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে, তবে কারো কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়নি।’
কারখানার এমডি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির নামে কেউ চাঁদাবাজি করেছে কি-না তা জানা নেই। কেউ সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ দিলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।।’
বিবার্তা/মনির/পলাশ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]