শিরোনাম
নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি-কচ্ছপিয়া সীমান্ত সড়ক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০১৭, ১১:৫৫
নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি-কচ্ছপিয়া সীমান্ত সড়ক
নদীগর্ভে বিলীন নাইক্ষ্যংছড়ি-কচ্ছপিয়া সীমান্ত সড়কের একাংশ
মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কচ্ছপিয়া-দোছড়ি সংযোগ সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এর আগে, সড়কের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি অংশও বিলীন হওয়ার পথে। ফলে দুশ্চিন্তায় আছেন এখানকার বাসিন্দারা। তারা দ্রুত এর সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

 

সূত্র জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি গ্রামটি কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের একটি ব্যবসায়িক, উৎপাদন ও রাজস্বখাতের এলাকা। সেখানে সীমান্তরক্ষায় একটি বিজিবি ক্যাম্পসহ সাত-আটটি ফাঁড়ির অবস্থান। এছাড়া, লামা বন বিভাগের বিট কার্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে এই সীমান্ত সড়কটি হয়ে উঠেছে অত্যন্ত ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

 

এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। তারা ভাঙনের ভয়াবহতা সম্পর্কে উচ্চপর্যায়ে জানান এবং এই ভাঙনচিত্র নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হলে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার দুই জেলা প্রশাসক এবং বিজিবির বিভাগীয় কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।  

 

ভাঙনের ভয়াবহতা অবলোকন করে জনদুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সড়কটি দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেন সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এর মাসখানেকের মধ্যে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বল্লি দিয়ে মাটি ভরাট করে মেরামতে ক্ষণিকের দুর্ভোগ লাঘব হলেও তা স্থায়ী রূপ দিতে দেয়নি নদীর রাহুগ্রাসে। এ সীমান্ত সড়কের ভাঙন অংশে পরিকল্পিত ও স্থায়ী প্রোটেকশন না হওয়ায় গত বছর আবার রাক্ষুসে নদীর কবলে পড়ে সড়কটি।  

 

জানা যায়, সংযোগ সড়কের ভাঙন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। অতি বর্ষণের ফলে বৃহস্পতিবার ভোরে অনেকটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ব্যস্ততম সড়কটি। সড়কটির ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। তবে, স্থানীয়দের উদ্যোগে গাড়ি চলাচলে সড়কে সাঁকো দেয়া হয়।  

 

এলাকাবাসী জানায়, বিকল্প ব্যবস্থা অথবা সংযোগ ঠিক করা না হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। দুর্ভোগে পড়বে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী। অরক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা সীমান্তের।  

 

কচ্ছপিয়া নাগরিক সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম টিপু সাংবাদিকদের জানান, এই ভাঙনের বিষয়ে এর আগেও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এখনো জানানো হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

 

তিনি জানান, রামু ও নাইক্ষংছড়ি উপজেলার যৌথ পরিকল্পনায় স্থায়ী ব্যবস্থা নিলে ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি রক্ষিত হবে।

 

স্থানীয় মেম্বর জয়নাল আবেদীন বলেন, এটাতে আপাতত প্রটেকশনের চিন্তাভাবনা চলছে। গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সড়কটির ভাঙন অংশ মেরামতের জন্য পার্বত্য এলাকার উন্নয়নের রূপকার প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ও রামু-কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

 

বিবার্তা/আরমান/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com