চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াকে (৩০) উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ৪৫ মিনিটে উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

বিজিবি লালমনিরহাট-১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ জানান, সন্ধ্যা হওয়ায় বিজিবি, বিএসএফ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের যৌথ উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে পুনরায় একই টিম উদ্ধার অভিযানে নামবে।

এর আগে সোমবার রাতে লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে ভারতীয় গরু পাচার প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া।

নিখোঁজ হওয়া এ বিজিবি ল্যান্স নায়েককে উদ্ধারে মঙ্গলবার সকালে তিস্তা নদীতে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ জানান, সোমবার রাত ২টার দিকে দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া নিখোঁজ হন।

তিনি আরো জানান, ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্য। কিন্তু তিনি ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পে সংযুক্ত আছেন।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্প থেকে বিওপির চার জনের একটি টহল টিম মুন্সিপাড়া সীমান্ত এলাকায় তিস্তার ধারে যায়। ভারতীয় গরু পাচার হয়ে আসার সময় নদীতে পাচারকারীদের ধরতে গিয়ে ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া নিখোঁজ হন।

বিবার্তা/জিন্না/নাজিম

>তিস্তায় বিজিবি সদস্য নিখোঁজ, উদ্ধারে হেলিকপ্টার