শিরোনাম
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান সফিয়ার
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০১৬, ১৭:৫৩
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান সফিয়ার
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন টগবগে তরুণ সফিয়ার রহমান। কুড়িগ্রাম জেলা সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের মরাটারী গ্রামের মৃত: সফর উদ্দিন সরকারের ছেলে সফিয়ার রহমানের বয়স এখন ৬৫। যুদ্ধ শেষে নিজের জীবন-জীবিকার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সফিয়ার। দুর্গম চরাঞ্চলে বাড়ি হওয়ায় আর খোঁজ রাখেনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ কিংবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার। ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম উঠেনি তার। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তার চাওয়া মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সনদ।


সফিয়ার রহমান বলেন, দেশ স্বাধীনের ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও স্বীকৃতি পাননি। এখনো তালিকাভুক্ত হতে পারেননি তিনি। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) দীর্ঘদিন ধরে ঘোরাঘুরি করে ফিরতে হয়ছে খালি হাতে। ঘোগাদহ ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুল কাদের ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কমান্ডার মো. বাতেন তদন্ত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে সুপারিশ করেছেন।



তিনি আরো জানান, যুদ্ধের শুরুর দিকে ভারতের ঝাউকুঠিতে ‘বাংলাদেশ ইয়ূথ রিসিপশন ক্যাম্পে’ প্রাইমারি ট্রেইনিং গ্রহণ করেন। তার নিকট তৎকালীন এমএনএ সামছুল হুদা স্বাক্ষরিত উক্ত ক্যাম্পের প্রাইমারি ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেট রয়েছে। তিনি ৬ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দাতা আওয়ামী লীগ সরকার আবারো অনলাইনে আবেদনের সুযোগ দিলেও দুর্গম এলাকায় বাড়ির অবস্থান এবং অসুস্থ্যতার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারেনি তিনি। গত বছর ৩০ জুন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন সফিয়ার রহমান। মন্ত্রণালয় উক্ত আবেদনটি গ্রহণ করেন যার ডিজি নম্বর ২২২০৯। কিন্তু বছর পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তিনি মমতাময়ী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হকের হস্তক্ষেপের আকুতি জানান। এটিই এখন তার জীবনের শেষ ভরসা। অসুস্থ্য ও বৃদ্ধ সফিয়ার রহমান মৃত্যুর আগে দেখে যেতে চান মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।


সফিয়ার রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে বাবা-মাকে রেখে অসহনীয় দুঃখ কষ্ট সহ্য করে প্রায় অর্ধভুক্ত থেকে ভারতের ঝাউকুঠি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। পরবর্তীতে সেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে আগত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেই। এরপর সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেই। এরপরও স্বীকৃতি মেলেনি।


বর্তমানে তিনি স্ত্রী, পাঁচ পুত্র ও দুই কন্যা নিয়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন।


কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপজেলা পর্যায়ে পাঠালে সংশ্লিষ্ট কমিটি তা তদন্ত করে দেখবে।


বিবার্তা/রয়েল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com