শিরোনাম
ধান কেটে জীবিকা নির্বাহ জিপিএ-৫ পাওয়া মিজানুরের
প্রকাশ : ২৮ মে ২০১৭, ১৪:২৭
ধান কেটে জীবিকা নির্বাহ জিপিএ-৫ পাওয়া মিজানুরের
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বোরো ধান কাটার মৌসুম। মিজানুরকে পাওয়া গেল ধান খেতে। দিনমজুর হিসেবে অন্যের জমিতে ধান কাটছেন সে। কথা বলা জানা যায়, ধানকেটে প্রতি দিন ৩০০ টাকা পায় সে। হালকা গড়নের শরীরের কারণে ধানের আটি (বোঝা) বইতে পারেন না, আর তাই অন্য দিনমজুরদের চেয়ে কম পারিশ্রমিক দেয়া হয় তাকে।

 

কিন্তু এই অদম্য মেধাবী মিজানুরের গল্পটা হওয়ার কথা ছিল অন্য রকম। সাধরণত, পরিবারের কেউ পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেলে যেমনটি হয়। এসময় কলেজে ভর্তির জন্য তোরজোর করার কথা ছিল মিজানুরের। কিংবা মিজানুরের বাবা-মা আনন্দে আত্মহারা হয়ে প্রতিবেশীদের মিষ্টিমুখ করানোর কথা ছিল। কিন্তু কোনোটাই হয়নি।

 

চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় পোড়াগাঁও আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে মিজানুর রহমান। সে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের ধুপাকুড়া গ্রামের মো. হযরত আলীর ছেলে।

 

মিজানুর জানায়, তার বাবা হযরত আলী পেশায় একজন রিকশাচালক। মা মরিয়ম বেগম গৃহিণী। তিন ভাই-বোন নিয়ে তাদের সংসার। ২৫ শতক জমির উপর একটি মাটির ঘর। এছাড়া কোনো চাষের জমি নেই। মিজানুর রহমান সবার বড়। তাই অভাব অনটনের সংসারে বড় সন্তান হিসেবে পড়ালেখার পাশাপাশি দিনমুজুরী কাজ করে সহায়তা করতে হয় তাকে।

 

মিজানুরের মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘মিজানুরের বাপ রিকশা চালাইয়া যে টেহা পায় তা দিয়া সংসার চলে না। মিজান সারা বছর সংসারে সাহায্যের লাইগা দিনমুজুরীর কাম করে। পুলাডা লেখাপরা করার বিরাট ইচ্ছা। কিন্ত আমরা গরিব মানুষ ছেলেরে কেমনে লেহাপড়া করামু?’

 

পোড়াগাঁও আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মো. আবুল হোসেন বলেন, মিজানুর লেখাপড়ার পাশাপাশি দিনমুজুরীর কাজ করে। ছেলেটা মেধাবী। তাকে ইংরেজি পড়িয়েছি। মেধাবী ও দরিদ্র হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষসহ সকলেই তাকে সহায়তা করেছেন। সহযোগিতা পেলে লেখাপড়ায় সে ভবিষ্যতে অনেক ভালো করবে।

 

বিবার্তা/সানী/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com