শিরোনাম
ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের দাবি ‘প্রগতিশীল’ নেতাদের
প্রকাশ : ২৭ মে ২০১৭, ২১:৫০
ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের দাবি ‘প্রগতিশীল’ নেতাদের
রাজশাহী ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীর ‘প্রগতিশীল নেতারা। শনিবার প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনসমূহের আলাদা আলাদা মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।


সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। শনিবার বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জিরোপয়েন্টে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


এতে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য অপসারণ করা স্বাধীনতার সঙ্গে প্রতারণা। সরকার হেফাজতের কথা শুনে তারা এ প্রতারণার কাজ করছে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, মহানগর সম্পাদকমন্ডলির সদস্য অ্যাড. এন্তাজুল হক বাবু, নগর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির।


একই সময় রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ে মানববন্ধন করে প্রগতিশীল কয়েকটি সামাজিক সংগঠন। এতে বক্তব্য দেন- কলামিস্ট প্রশান্ত সাহা, কবি রুহুল আমিন প্রামাণিক, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান আলী বরজাহান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামার উল্লাহ সরকার, মিনহাজ উদ্দীন মিন্টু, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি কল্পনা রায়, আওয়ামী লীগ নেতা পঙ্কজ দে প্রমুখ।


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের কথায় ভাস্কর্য আপসারনের ঘটনা সুখকর হবে না। এ ঘটনা পুরো প্রগতিশীল সমাজের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য ভাঙা প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রগতিশলীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মানবন্ধন থেকে অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও দ্রুত ভাস্কর্য পুর্ণস্থাপনের দাবি জানানো হয়।


এর আগে বেলা ১১টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যেগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সোহরাব হোসেন, সহ-সভাপতি মর্তুজা আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন প্রধান তারেক, নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।


মানবন্ধনে তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে গিয়ে সরকার মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে যাওয়া শুরু করেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ হেফাজতের সাথে আপোষ, কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি ও সুপ্রিম কোর্টের সমানের ভাস্কর্য অপসারন। তাদের এই আগ্রাসন রুখতেই হবে প্রগতিশীল সমাজকে। এজন্য সকল প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।


বিবার্তা/রিমন/নাজিম

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com