শিরোনাম
সাভারের অভিযান শেষ, গ্রেনেড ও সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার
প্রকাশ : ২৭ মে ২০১৭, ১৫:৫৫
সাভারের অভিযান শেষ, গ্রেনেড ও সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার
সাভার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সাভারের সন্দেভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ হয়েছে। শনিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে অভিযানটি শেষ হয়। আস্তানা থেকে গ্রেনেড, সুইসাইড ভেস্ট (আত্মঘাতী বন্ধনী) ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম বলেন, আস্তানাটি থেকে সাতটি গ্রেনেড, তিনটি সুইসাইড ভেস্ট, গ্রেনেড তৈরির কয়েক হাজার ব্যাটারি, সালফিউরিক অ্যাসিড ও গানপাউডার উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) এই অভিযানের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানাবেন।

 

শুক্রবার রাত ১০টা থেকে মধ্যগ্যান্ডা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ছয়তলা বাড়িটি ঘিরে রেখেছিল পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। রাত গভীর হওয়ায় অভিযান জোরালো করা হয়নি।

 

শনিবার সকালে পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয় বাড়িটি ঘিরে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। এরপরই তারা বাড়িটির ভেতরে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পর ওই বাড়ির আশপাশের বাড়িগুলো থেকে সবাইকে সাময়িকভাবে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়। তবে কাউকে আতঙ্কিত না হতেও বলা হয়। এর পরপরই ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।

 

অভিযান চলাকালে দুপুর সোয়া ১২টায় ওই বাড়িতে প্রথম ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এরপর বেলা ১টা ১০ মিনিট, ১টা ২০ মিনিট, ১টা ২৫ মিনিট ও বেলা দেড়টায় বিকট বিস্ফোরণ ঘটে।

 

মধ্যগ্যান্ডা এলাকায় ঘিরে রাখা নির্মাণাধীন ছয়তলা বাড়িটির দোতলা পর্যন্ত নির্মাণ শেষ হয়েছে। নিচতলার এক ভাড়াটে নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দোতলার ফ্ল্যাটের একটিতে পাঁচ-ছয়জন তরুণ থাকতেন। আরেক ফ্ল্যাটে থাকতেন এক যুবক ও দুই নারী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে দুই নারীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। বাসায় জড়ো করে রাখা কার্টন দেখে তিনি এর ভেতরে কী আছে জানতে চান। দুই নারী জানান, তারা কাচের চুড়ির ব্যবসা করেন। নিচতলার ওই ভাড়াটে চুড়ি দেখতে চাইলে তারা খুব বিরক্তি প্রকাশ করে তাকে চলে যেতে বলেন।

 

ওই বাড়িটির মালিক সাকিব আহমেদ অলক। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায়। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম নবী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাকিব আহমেদকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

 

এর আগে সাকিব আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, চলতি মাসেই বাসা ভাড়া নেন মোসলেম নামের এক ব্যক্তি। মোসলেম বলেছিলেন, তার বাড়ি নোয়াখালীতে। ৮ মে মোসলেম বাসায় ওঠেন। ব্যস্ততার কারণে মোসলেমের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে পারেননি তিনি। 

 

এদিকে, ওই বাড়িটি ঘেরাওয়ের আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একই এলাকায় আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির একটি পাঁচ তলা বাড়ি ঘেরাও করেছিল পুলিশ। তবে ওই বাড়িটিতে সন্দেহভাজন জঙ্গি কিংবা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়নি। ওই বাড়ির সন্দেহভাজন ভাড়াটিয়ারা শুক্রবার সকালেই বাসা ছেড়ে চলে যায় বলে পুলিশ জানায়।

 

বিবার্তা/আছিয়া/নিশি

 

>> সাভারে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় ‘বিকট শব্দ’

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com