শিরোনাম
রামেকের বহির্বিভাগে টাকা নিয়ে চিকিৎসার অভিযোগ
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ২১:৩৫
রামেকের বহির্বিভাগে টাকা নিয়ে চিকিৎসার অভিযোগ
রাজশাহী ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে।


বুধবার সকালে ওই চিকিৎসককে টাকা দিতে না পারায় চিকিৎসা না করে ফিরিয়ে দেয়া এক রোগী বহির্বিভাগের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে বিষয়টি বহির্বিভাগের অন্য রোগীরা হাসপাতালের পরিচালককে জানান। এ নিয়ে বুধবার সকালে হাসপাতালে হুলস্থুল পড়ে যায়।


রোগীরা জানায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের যৌন ও চর্ম রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেন। সকালে বহির্বিভাগের টিকিট কেটে রাজশাহীর তানোর থেকে এক ব্যক্তি তার কাছে চিকিৎসা নিতে যান। কিন্তু ‘ভিজিট’ দিতে না পারায় ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন তার চিকিৎসা করেননি। এ সময় তার চেম্বারের সামনে বেঞ্চে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই ব্যক্তি। এরপর বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা অন্য রোগীরা বিষয়টি জানতে পারেন।


খবর পেয়ে ওই রোগীর সঙ্গে কথা বলতে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বর্হিবিভাগে গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি। তাই তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে বহির্বিভাগে থাকা অন্য রোগীরাবিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


তার সহকারী দিদারুল আলম জানান, কিছুক্ষণ আগে ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন চেম্বার থেকে বেরিয়ে গেছেন। যদিও দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তার চেম্বারে থাকার কথা। তবে কেন তিনি চলে গেছেন তা তিনি জানেন না।


রোগীদেরকাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দিদারুল আলম দাবি করেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো রোগি কান্নাকাটি করছিলেন কী না, তাও তিনি জানেন না। তবে হাসপাতালের পরিচালক তাকে ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন।


মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ অবাস্তব। শুধু আমার চেম্বার নয়, বর্হিবিভাগের কোথাও টাকা নেয়া হয়, এমন কথা কখনই শুনিনি। বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী দেখতে আমি ৮০০ টাকা ভিজিট নিই। এতো টাকা বর্হিবিভাগের রোগিরা দিতে পারবে? পারবে না।’


রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল এএফএম রফিকুল ইসলাম জানান, এ ধরনের অভিযোগ তিনিও পেয়েছেন। বহির্বিভাগের রোগীরা বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। তবে ভুক্তভোগী রোগীকে পাওয়া যায়নি। আর ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খুবই সৎ মানুষ।


তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েই তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি তদন্ত করেছেন। তার কাছে মনে হয়েছে, ডা. মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে যাওয়া রোগীদের দীর্ঘ সারি থাকে। এ কারণে আগে চিকিৎসকের সাক্ষাত পাইয়ে দেয়ার নামে ওই চিকিৎসকের সহকারী দিদারুল আলম রোগীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে থাকেন। বুধবারের ঘটনাটিও এ ধরনের। তাই প্রাথমিকভাবেই তিনি দিদারুলকে সতর্ক করেছেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্ত যেই হননা কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিবার্তা/রিমন/জেমি/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com