শিরোনাম
যশোরে ধানী গোল্ড চাষ করে বিপাকে কৃষক
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০১৬, ১৯:৩৯
যশোরে ধানী গোল্ড চাষ করে বিপাকে কৃষক
যশোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

যশোরের মণিরামপুরে বায়ার কোম্পানির অ্যারাইজ ধানী গোল্ড হাইব্রিড-৪ জাতের ধান চাষ করে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ওই জাতের ধান চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষেতে এখন কোনো কোনো গোছায় ধানের শীষ বেরিয়ে পাক ধরেছে, কোনোটির কেবল শীষ বেরিয়েছে, থোড় এসেছে কোনোটির, আবার কোনোটির এখনো থোড়ই আসেনি। যে কারণে কৃষক তাদের চাষকৃত ফসলের কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়ে হতাশায় রয়েছেন।


স্থানীয় কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ভেজাল বীজ অথবা বীজের কৌলিতাত্ত্বিক (জেনেটিক সেগ্রিগেশন) তারতম্যের কারণে এমনটি হতে পারে।


সরেজমিন উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের একটি মাঠে দেখা যায়, কয়েকটি ক্ষেতে ধান গাছের কোনোটির শীষ বেরিয়ে তাতে পাক ধরেছে, কোনোটির শীষ বেরিয়েছে, কোনো কোনো গাছে কেবল থোড় এসেছে। আবার কোনটিতে এখনো থোড়ই আসেনি।


এ নিয়ে কথা হয় ওই গ্রামের কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সাথে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কামাল খান বলেন, বায়ার কোম্পানি তাদের এলাকায় কৃষকদের ওই জাতের ধান চাষে উৎসাহিত করতে ব্যাপক প্রচার চালায়। তাদের কথায় বিশ্বাস করে অধিক ফলনের আশায় চলতি আমন মৌসুমে আষাঢ় মাসে উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের ধানী গোল্ডের ডিলার তরিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান বীজ ৩৫০ টাকা দরে কিনে বীজতলায় বপণ করা করি।


এরপর ২৩ দিনের মধ্যে সেই ধানের চারা (পাতা) এক একর জমিতে রোপণ করি। নিয়মিত সেচ-সার ও পরিচর্যা করার পর এখন ক্ষেতে ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছি।


একই গ্রামের আরেক কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে ধানী গোল্ড জাতের ধান চাষ করেছি। কিন্তু এখন ক্ষেতের ধানগাছের শীষ বেরিয়ে কোনোটিতে পাক ধরেছে, কোনোটির কেবল থোড় আসছে। আবার কোনোটির এখনো থোড়ই আসেনি। ধারদেনা করে ধান চাষ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন না পেলে পথে বসতে হবে।


শুধু ওই দু’জন নয়, ওই এলাকার আব্দুল মালেক, আব্দুর রহমানসহ অনেকেই এই জাতের ধান চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।


এ ব্যাপারে বায়ার কোম্পানির স্থানীয় পরিবেশক তরিকুল ইসলাম বলেন, ধানের বীজে ভেজাল কিনা কোম্পানির লোকজনই ভালো বলতে পারেন। মুঠো ফোনে বায়ার কোম্পানির যশোর এলাকার বিডিএম (বিজনেস ডেভোলপমেন্ট ম্যানেজার) মফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বীজ নির্ভেজাল দাবি করে বলেন, বীজের টেকনিক্যাল বিষয়ে বোঝার জন্য কৃষি অফিসের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।


এ ব্যাপারে জেলা কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, ভেজাল অথবা বীজের কৌলিতাত্ত্বিক (জেনেটিক সেগ্রিগেশন) তারতম্যের কারণে এরকম হতে পারে।


বিবার্তা/তুহিন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com