দিনাজপুরের মধ্যপাড়া রেঞ্জের বনভূমি প্রতিদিন এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা দখল করে নিচ্ছে। তারা বনের জায়গা দখল করে গড়ে তুলছেন হাটবাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া বনখেকোরা বনের ভিতরেই একাধিক স’ মিল গড়ে তুলেছে। জানা গেছে, মধ্যপাড়া রেঞ্জের সাত হাজার একর জমির মধ্যে পাঁচ হাজার একর ইতিমধ্যে বেদখল হয়ে গেছে।
মধ্যপাড়া রেঞ্জটি এক সময় শালবাগানের জন্য বিখ্যাত ছিল। তবে বনদস্যুদের চুরি ও দখলে হারিয়ে যাচ্ছে সেই ঐতিহ্য।
সোমবার মধ্যপাড়া রেঞ্জে সরেজমিনে দেখা যায়, বনবিভাগের জায়গায় গড়ে উঠেছে মধ্যপাড়া হাটবাজার, রয়েছে একাধিক স’ মিল। এই দৃশ্য শুধু মধ্যপাড়া বাজারে নয়, আফতাবগঞ্জ, কুশদহ, ভবানীপুর বীটেরও।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বনবিভাগ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মধ্যপাড়া রেঞ্জ। এই রেঞ্জের অধীন রয়েছে মধ্যপাড়া সদর, কুশদহ, আফতাবগঞ্জ ও ফুলবাড়ী এবং পার্বতীপুর উপজেলা নার্সারি। এর মধ্যে আফতাবগঞ্জ বীটে ২৬শ একর, মধ্যপাড়া বীটে ১৪শ একর, কুশদহ বীটে ১২শ একর ও ভবানীপুর বীটে ১৬শ একর বনভূমি রয়েছে। মধ্যপাড়া রেঞ্জে মোট ছয় হাজার আটশ একর বনভূমির মধ্যে এখন দখলমুক্ত রয়েছে মাত্র দুই হাজার একর। বাকি সব বনভূমি বেদখল হয়ে গেছে।
মধ্যপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রঞ্জিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার আগেই ওই জায়গাগুলো দখল হয়ে গেছে। একাধিক নোটিস দেয়ার পরেও দখলকারীরা দখল ছাড়েনি। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে। মামলা থেকে জামিনে এসে তারা আগের মতো একই কাজ করছে।’ তবে তিনি দাবি করে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন কোন জায়গা বেদখল হয়নি।’
এদিকে এক বন কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, বনদস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী ও স্থানীয় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ কারণে বন কর্মকর্তারাও কোন জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। তিনি আরো বলেন, বনের জায়গা উদ্ধার করতে গিয়ে অনেক বন কর্মকর্তা দস্যুদের হাতে লাঞ্ছিতও হয়েছেন।
বিবার্তা/মেহেদী/পলাশ/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]