
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। এক দিনের ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে অন্তত ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি নেমে এসেছে জনজীবনে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৬ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৪০ শতাংশ।
আর বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৩৪ শতাংশ। যা গরমের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২ টায় আবহাওয়া অফিস চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিলো ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৫৩ শতাংশ।
আর বিকেল ৩ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৩৬ দশমিক ০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৫৮ শতাংশ।
শহরের রিকশাচালক ফুরকান মিয়া বলেন, রোদ আর গরমে হাঁসফাঁস লাগছে। কিন্তু পেটের তাগিদে কাজ করা ছাড়া উপায় নেই। রাস্তায়ও মানুষের চলাচল কম। যার কারণে ভাড়াও কম হচ্ছে। সব মিলিয়ে অস্বস্তি লাগছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, জেলায় মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে যা আগামী ১৪ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আপাতত বৃষ্টি কিংবা কালবৈশাখী ঝড়ের আশংকা নেই।
তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে।
বিবার্তা/আসিম/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]